অভিষেক ও কল্যাণ একে অপরকে স্পষ্ট করে কিছু না বলেও দলের সহকর্মীরা একে অপরের পক্ষ থেকে বিবৃতি দিতে শুরু করে দেন। তারপরই সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ গোটা বিষয়টিকে ক্লোজ চ্যাপটার হিসেবে বর্ণনা করেছেন। পাশাপাশি দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন এই বিষয়ে আর কোনও বিবৃতি দেওয়া যাবে না। যদি কিছু বলার থাকে তাহলে তা দলের অন্দরেই বলতে হবে। প্রকাশ্যে আর কিছুই বলা যাবে না।
তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) সমালোচনা করেছিলেন তৃণমূলের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Bnerjee)। দিন কয়েক আগে ডায়মণ্ড হারবারের একটি অনুষ্ঠানে অভিষেক বলেছিলেন, তিনি মনে করেন ক্রমবর্ধমান কোভিড সংক্রমণের কারণে আগামী দু মাস রাজ্যের সমস্ত অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হোক। বিরোধীরা জানিয়েছিলেন অবিষেক আসন্ন পুরসভা নির্বাচন বন্ধ করা কথা বলছেন। যদিও অভিযোগ কোনও কিছু স্পষ্ট করে বলেননি। কিন্তু তিনি সেই মঞ্চ থেকেই জানিয়েছিলেন এটি সম্পূর্ণ তাঁর ব্যক্তিগত মতামত। এরপরই আসরে নামেন সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি নাম না করেই অভিষেকের সমালোচনায় সরব হন। তিনি বলেন এই রাজ্যে ও তৃণমূল কংগ্রেসের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই শেষ কথা বলেন। তাঁর মতামাতই শেষ মতামত।
অভিষেক ও কল্যাণ একে অপরকে স্পষ্ট করে কিছু না বলেও দলের সহকর্মীরা একে অপরের পক্ষ থেকে বিবৃতি দিতে শুরু করে দেন। তারপরই সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ গোটা বিষয়টিকে ক্লোজ চ্যাপটার হিসেবে বর্ণনা করেছেন। পাশাপাশি দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন এই বিষয়ে আর কোনও বিবৃতি দেওয়া যাবে না। যদি কিছু বলার থাকে তাহলে তা দলের অন্দরেই বলতে হবে। প্রকাশ্যে আর কিছুই বলা যাবে না। সূত্রের খবর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হস্তক্ষেপ করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তিনিও বলেছেন এই নিয়ে কোনও কথা প্রকাশ্যে বলা যাবে না।
তবে দিন দুই আগে শুরু হওয়া এই বতর্ক শুক্রবার সকাল পর্যন্ত গোটা জিয়ে ছিল। তৃণমূল সূত্রের খবর এদিন সকালেই কল্যাণের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিল তৃণমূল সাংসদ অপরূপা পোদ্দার। তিনি বলেন মুখ্য সচেতক হয়ে কল্য়াণ কেন দলের সাধারণ সম্পাদকের সমালোচনা করবেন। একই সঙ্গে কল্যাণের ইস্তফাও দাবি করেন তিনি। তারপরই লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় অপরূপাকে ফোন করে প্রকাশ্যে এই বিষয় নিয়ে কথা না বলার পরামর্শ দেন। তারপরই অপরূপা গোটা বিষয়টি ফোনে অভিষেককে জানিয়েছেন। অভিষেকও পাল্টা ফোন করেন সুদীপকে। কেন অপরূপাকে সুদীপ মুখ বন্ধ রাখতে বলেছেন তা নিয়েও প্রশ্ন করেন। পাশাপাশি কল্যাণ যখন তার সমালোচনা করেছিল তখন তাঁকে কেন সতর্ক করা হয়নি তাও জানতে চান অভিষেক। যদিও এই প্রশ্নের কোনও উত্তর দিতে পারেননি সুদীপ।
তৃণমূল সূত্রের খবর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কল্যাণের সঙ্গে কথা বলেন কুণাল। তারপরই গোটা বিষয়টি নিয়ে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে থাকারও সিদ্ধান্ত হয়েছে। কিন্তু বিকেলে কল্যাণ মুখে কোনও কথা না বলেও সোশ্যাল মিডিয়ায় শ্রীজাতর শিরদাড়া নিয়ে একটি কবিতা পোস্ট করেন। পাল্টা কুণালও অন্য একটি কবিতা পোস্ট করেন। কোথাও কোনও রাজনীতি না থাকলেও তৃণমূলের অন্দরে অস্বস্তি রয়েছে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। যদিও সূত্রের খবর কবিতা পোস্টের পরেও কুণাল আর কল্যাণ ফোনে কথা বলেছেন।