ঝালদায় 'শ্লীলতাহানি'-র অভিযোগ তুললেন নিহত কংগ্রেস কাউন্সিলরের স্ত্রী, কাঠগড়ায় পুলিশ কর্তা

ঝালদা কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু খুনের পর বেরিয়ে এল আরও এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। 'শ্লীলতাহানি'-র অভিযোগ তুললেন নিহত কংগ্রেস কাউন্সিলরের স্ত্রী, কাঠগড়ায় পুলিশ কর্তা।

Web Desk - ANB | Published : Apr 10, 2022 3:31 AM IST / Updated: Apr 10 2022, 09:37 AM IST

ঝালদা কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু খুনের পর বেরিয়ে এল আরও এক চাঞ্চল্যকর তথ্য।   ঝালদা থানার আইসি-র বিরুদ্ধে আগেই থেকেই অভিযোগ ছিল নিহত তপন কান্দুর স্ত্রীর। আর এবার বিস্ফোরক তথ্য সামনে এল। পুরুলিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন তিনি। তার অভিযোগ পুরবোর্ড গঠনের দিন পুরভবনের দরজার সামনেই তাঁদের ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়েছিল। এরপরেই পুলিশ তাঁদের শ্লীলতাহানি করে। নিহত তপন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু নিজেও ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। এনিয়ে জেলা পুলিশ সুপারকে চিঠিও পাঠিয়েছেন তিনি।

অভিযোগ পত্রে নিহত কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু লিখেছেন, এই ঘটনায় সেই সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সক্রিয় ছিলেন। পুরবোর্ড গঠন করার জন্য তিনি সেদিন ঝালদা পুরভবনে যাচ্ছিলেন।কিন্তু পুলিশকর্মীরা সেই গণতনান্ত্রিক অধিকারে বাধা দেয়। শুধুই হেনস্থা নয়, তাঁকে শ্লীলতাহানি করা হয় বলেও অভিযোগ। এমনকি ভিডিও ক্লিপ দেখলেই বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যাবে বলে দাবি পূর্ণিমা কান্দুর।

আরও পড়ুন, 'বিজেপিকে হারালে জিনিসপত্রের দাম কমবে', শুভেন্দুর ভিডিও আপলোড করে 'রিটার্ন গিফট' কুণালের

একদিকে আগে  ঝালদা থানার আইসি-র বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল। নিহত কাউন্সিলর তপন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিমাদেবীর অভিযোগ, 'তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য তপন কান্দুকে চাপ দিচ্ছিলেন খোদ ঝালদা থানার আইসি। এমনকি কথা না শুনলে গুম করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি পর্যন্ত দেওয়া হয়েছিল বলে দাবি করেন পূর্ণিমাদেবী। আর এবার পুরুলিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন তিনি। তবে জেলা পুলিশ সুপার অভিযোগ খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, ঝালদা কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু খুনের তদন্তে সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছে সিবিআই। কংগ্রেস কাউন্সিলর খুনের তদন্তে এসডিপিওকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই। শনিবার ঝালদার রেঞ্জ অফিসে হাজিরা দেন  এসডিপিও সুব্রত দেব। প্রায় ১ ঘন্টা ধরে তাঁকে জেরা করেন সিবিআই। উল্লেখ্য তপন কান্দু খুনে ৪ জনকে গ্রেফতার করেছিল সিট। ধৃতদের এখন নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে সিবিআই। পাশাপাশি সিটের হেফাজতে থাকা  তপন ও মিঠুন কান্দুরও মোবাইল ফোন নিয়ে নিয়েছে সিবিআই। মোবাইল দুটি ফরেন্সিকে পাঠানো হয়েছে।

আরও পড়ুন, বসন্তের পোড়া রোদে বাসন্তি পুজোয় দুই পদার্থবিদ, মুখোমুখি দেবীপ্রসাদ ও সুস্মিতা

উল্লেখ্যে মিঠুন কান্দুর সঙ্গে ঝালদা থানার আইসি-র অডিও ভাইরাল হয়েছে। সেই সংক্রান্ত তথ্য জানতেই ফরেন্সিক করাতে চায় সিবিআই। ধৃত আশিক খানের ধূপের ব্যবসা ছিল। সব জায়গায় ধূপ বিক্রি করতেন তিনি। যাদের ধূপ বিক্রি করতেন, এদিন ঝালদা হাটতলা বাজারে গিয়ে তাঁদের থেকে সিবিআই একাধিক তথ্য জোগাড় করে। পাশাপাশি সিসিটিভি ফুটেজ নিয়েও তৈরি হয়েছে জটিলতা। ঘটনাস্থলের ৩৬ টি সিসিটিভি ফুটেজের অধিকাংশ পায়নি সিবিআই। সেগুলিও খোঁজ চালাচ্ছেন তদন্তকারীর দল।

Share this article
click me!