'আইসি-কে কেন এখনও সাসপেন্ড করা হয়নি', ঝালদায় নিহত কাউন্সিলরের বাড়িতে আব্দুল মান্নান

'আইসি-কে  কেন এখনও সাসপেন্ড করা হয়নি', কাউন্সিলর হত্যাকাণ্ডে বিস্ফোরক বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা আবদুল মান্নান। ঝালদায় এসে নিহত তপন কান্দুর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করলেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা আব্দুল মান্নান।  

Web Desk - ANB | Published : Mar 15, 2022 12:22 PM IST

'আইসি-কে  (IC) কেন এখনও সাসপেন্ড করা হয়নি', কাউন্সিলর হত্যাকাণ্ডে (Purulia Councillor Murder Case) বিস্ফোরক বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা আবদুল মান্নান। ঝালদায় এসে নিহত তপন কান্দুর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করলেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা আব্দুল মান্নান (Congress Leader Abdul Manna)। তার সঙ্গে ছিলেন জেলা কংগ্রেস সভাপতি নেপাল মাহাতো। বেশ কিছুক্ষণ আব্দুল মান্নান ছিলেন নিহতের বাসভবনে। তার সামনে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন নিহতের স্ত্রী তথা ঝালদা ১২ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলার পূর্ণিমা কান্দু।

নিহত কাউন্সিলর তপন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু বলেন, ঘটনার তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত ঝালদায় বোর্ড গঠন করতে দেওয়া যেন না হয়। মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে আব্দুল মান্নান বলেন, রাজ্যে আইন শৃঙ্খলা ভেঙ্গে পড়েছে। অথচ মুখ্যমন্ত্রীর কোন প্রতিক্রিয়া নেই।  রক্ষকই ভক্ষক। তাই সিবিআই তদন্তের দাবী করছেন তারা। যাদের এই ভাবে খুন করা হয়েছে সবার ক্ষেত্রেই তারা উপযুক্ত তদন্তের জন্য আদালতে যাবেন বলে জানান তিনি। অভিযোগ ওঠার পরও  আইসি-কে  কেন এখনও সাসপেন্ড করা হয়নি, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন প্রবীণ এই কংগ্রেস নেতা। তিনি দাবি করেন, দোষী পুলিশ আধিকারিকদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির।

আৎও পড়ুন, আজ মাধ্যমিকের শেষ দিনেই বনধ পুরুলিয়ায়, কাউন্সিলর হত্যাকাণ্ডে প্রতিবাদ কংগ্রেসের

নিহত কাউন্সিলর তপন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিমাদেবীর অভিযোগ, রাজ্যের পুরভোটের পর তপন কান্দুকে থানায় ডেকে পাঠিয়েছিলেন  ঝালদা থানার আইসি। সেখানে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য তপন কান্দুকে চাপ দিচ্ছিলেন খোদ আইসি। এমনকি কথা না শুনলে অপহরণ করে গুম করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি পর্যন্ত দেওয়া হয়েছিল বলে দাবি করেন পূর্ণিমাদেবী। এমনকি তার থেকেও খারাপ কিছু হতে পারে বলে জানিয়েছিলেন তিনি। পাশাপাশি  কাউন্সিলর হত্যাকাণ্ডে তপন কান্দুর মেয়ে দীপা কান্দু বলেছেন, 'আমার বাবাকে যারা এরকম করেছে, তাঁদের শাস্তি চাই। এটার জন্য সবাই আছে। আইসি, সুরেশ আগরওয়াল, নরেন কান্দু ও তার ছেলে, শ্য়াম কান্দু, ভীম তিওয়ারি এবং বিশ্বনাথ কান্দু। আমার বাবা ভোটে জিতেছে, তাই ওদের এই হারটা সহ্য হয়নি। আইসি হুমকি দিয়েছিলেন যে, আপনাকে যখন তখন তুলে নিয়ে যাওয়া হবে। নেপাল মাহাতোর উদ্দেশ্যে মেয়ে দীপা বলেন, যারা এরকম করেছে, তাঁদের শাস্তি দেওয়া হোক।' 

আরও পড়ুন, পানিহাটির কাউন্সিলর খুনে জড়িত পুলিশের জালে আরও ৩, মূল অভিযুক্তকে আগ্নেয়াস্ত্র সরবারহের অভিযোগ

প্রসঙ্গত, পুরুলিয়ার ঝালদায় কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। গুলিবিদ্ধ অবস্থাতেই তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়, রাঁচির একটি বেসরকারি হাসপাতলে। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। মৃত্য়ু হয়  কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর। এদিকে ত্রিশঙ্কু ঝালদা পুরসভায় কংগ্রেসকে সংখ্যালঘু করতেই শাসকদল হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন জেলা কংগ্রেস সভাপতি নেপাল মাহাতো। রবিবার দুপুরে নবনির্বাচিত কাউন্সিলরদের নিয়ে সংবর্ধনা সভা করেছিল কংগ্রেস। সেখানে সস্ত্রীক যোগ দিয়েছিলেন কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু। সভা থেকে বিকেলে একাই বেরিয়ে যান। রাস্তায় আচমকাই তিন দুষ্কৃতি গুলি করে পালায়। প্রথমে গুরুতর জখম তপন কান্দুকে নিয়ে যাওয়া হয় ঝালদা মহাকুমা হাসপাতালে। সেখান থেকেই স্থানান্তরিত করা হয়, রাঁচির বেসরকারি হাসপাতালে। এরপরেই মৃত্যু হয় তার। উল্লেখ্য,  ইতিমধ্যেই খুনের মামলায় নিহত তপন কান্দুর ভাইকে গ্রেফতার করা হয়েছে। 

Share this article
click me!