ত্রাণ কেলেঙ্কারির জেরে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবিতে হরিশ্চন্দ্রপুরে থানা ঘেরাও বামেদের। পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখানোওর পাশাপাশি হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসিকে ডেপুটেশন প্রদান করা হয়।
মালদা-তনুজ জৈনঃ- ত্রাণ কেলেঙ্কারির ( Flood relief scandal in Malda) জেরে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবিতে হরিশ্চন্দ্রপুরে থানা ঘেরাও ও ডেপুটেশন জমা বামেদের ( CPIM)। বন্যার ত্রাণ কেলেঙ্কারির অভিযুক্ত তৃণমূল জন-প্রতিনিধিদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবিতে মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর থানা ঘেরাও করল হরিশ্চন্দ্রপুর সিপিআইএম। এদিন এই মর্মে থানা সামনে অনেক ক্ষণ ধরে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখানোওর পাশাপাশি হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসিকে ডেপুটেশন প্রদান করা হয়।
প্রসঙ্গত ২০১৭ সালের বন্যার জেরে হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েতে ব্যাপক পরিমাণে ক্ষতির সম্মুখীন হয় স্থানীয় বাসিন্দারা। এই বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত তালিকা তৈরি করতে গিয়ে ব্যাপক পরিমাণ দুর্নীতি ধরা পড়ে। এই নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়। বরই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান , হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতি সভাপতি সহ বেশ কয়েক জনের নামে মামলা দায়ের করা হয়। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার জেরে ইতিমধ্যেই পলাতক প্রধান ও পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি। অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হচ্ছে না এই দাবি তুলে হরিশ্চন্দ্রপুর থানা ঘেরাও করে এলাকা সিপিআইএম নেতৃত্বের। তাছাড়া এই মর্মে হরিশ্চন্দ্রপুর থানা আইসি সঞ্জয় কুমার দাসের হাতে ডেপুটেশন তুলে দেন সিপিএম নেতৃত্বরা। এদিনে থানা ঘেরাও কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন সিপিআইএমের রাজ্য কমিটির সদস্য জামিল ফেরদৌস, জেলা কমিটির সদস্য আরজাউল হক, অনুপ আচার্য প্রমুখ নেতারা।
আরও পড়ুন, Nadigram: নন্দীগ্রামের কিসান মান্ডিতে ধুন্ধুমার, আটক ৬, প্রতিবাদে বনধের ডাক বিজেপির
আরও পড়ুন, Elephant: জয়ন্তীর রাস্তায় আচমকা দাঁতাল-দর্শন, হাতি দেখে আনন্দে আত্মহারা পর্যটকরা
সিপিআইএম নেতা জামিল ফেরদৌস জানান, 'হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লক এলাকার বড়ই কুশিদা মহেন্দ্রপুর সহ বেশ কয়েকটি গ্রাম পঞ্চায়েতে বন্যা ত্রাণ কেলেঙ্কারি ও সরকারি অন্যান্য প্রকল্পের কেলেঙ্কারি সামনে এসেছে। এই সবেতেই অভিযুক্ত শাসক দলের জন-প্রতিনিধিরা। ইতিমধ্যেই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সোনামণি সাহার বিরুদ্ধে হুলিয়া জারি করেছে কোর্ট। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কোয়েল দাস পলাতক। আমরা জানতে চাই এতদিনেও কেন অভিযুক্তদের পুলিশ এরেস্ট করতে পারল না। আমরা চাই অবিলম্বে এই সমস্ত দুর্নীতিগ্রস্ত জন-প্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে পুলিশ প্রশাসন কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করুক। না হলে আমরা আরও বৃহত্তর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হব।' প্রসঙ্গত, চলতি বছরের জুনমাসে বিজেপি নেতা ও বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছিল এফআইআর। এফআইআর দায়ের হয় শুভেন্দুর ভাই সৌমেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধেও। সাইক্লোন ইয়স পরবর্তী পরিস্থিতিতে তাঁরা ত্রাণ সামগ্রী চুরি করেছেন বলে অভিযোগ ওঠে। কাঁথি পুরসভা থেকে এই ত্রাণ সামগ্রী চুরি করেছেন তাঁরা বলে অভিযোগ। সংবাদ সংস্থা এএনআই জানায়, কাঁথি পুর প্রশাসকমন্ডলীর সদস্য রত্নদীপ মান্না এফআইআর দায়ের করেছেন এই মর্মে যে অধিকারী পরিবারের এই দুই ভাই সরাসরি ত্রাণ চুরির কাজে জড়িত। পয়লা জুন কাঁথি থানায় বিজেপি নেতার নামে এফআইআর দায়ের করা হয়। উল্লেখ্য সৌমেন্দু অধিকারী কাঁথি পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান ছিলেন। যদিও এই ঘটনাদল বদলের পরে প্রকাশ্য়ে আসে।