- Home
- West Bengal
- West Bengal News
- Elephant: জয়ন্তীর রাস্তায় আচমকা দাঁতাল-দর্শন, হাতি দেখে আনন্দে আত্মহারা পর্যটকরা
Elephant: জয়ন্তীর রাস্তায় আচমকা দাঁতাল-দর্শন, হাতি দেখে আনন্দে আত্মহারা পর্যটকরা
- FB
- TW
- Linkdin
বক্সা থেকে জয়ন্তীর রাস্তায় আচমকা দাঁতাল হাতির দেখা পেলেন রায়গঞ্জ শহরের এক পর্যটক দল। সময় নষ্ট না করে মুহুর্তের মধ্যেই ক্যামেরা বন্দী করলেন দাঁতাল হাতির রাস্তা পারাপারের দৃশ্য। (Elephants at Jayanti Alipurduar District)
বক্সা ঘন জঙ্গল থেকে জয়ন্তীর রাস্তায় হঠাৎই তারা বেরিয়ে আসে। তবে লোকালয়ে এসে তারা মোটেই কারও ক্ষতি করেনি বলে খবর।(Elephants at Jayanti Alipurduar District)
দাঁতাল হাতিদের দেখে ভয় পেয়ে নয়, বরং একবার তাদের সামনাসামি দেখে নেওয়ার জন্য গাড়ি চালানোও থামিয়ে দিলেন জাতীয় সড়কের বহু চালক।(Elephants at Jayanti Alipurduar District)
আলিপুরদুয়ার জেলার জয়ন্তী এলাকার দামানপুর ব্রীজের কাছে আচমকাই এক বিশালাকৃতির দাঁতাল হাতিকে ব্যস্ততম রাস্তা পার হতে দেখেন চলাচলকারী পর্যটক থেকে স্থানীয় বাসিন্দারা। এরপরেই আর খুশির অন্ত থাকেনা। (Elephants at Jayanti Alipurduar District)
হাতিটি রাস্তার এপারের জঙ্গল থেকে ওপারের জঙ্গলে যাচ্ছিল। এরপর পর্যটকেরা গাড়ি থামিয়ে একের পর এক মোবাইলে ফ্লাশ বন্দী করতে থাকেন হাতির গতিবিধি।(Elephants at Jayanti Alipurduar District)। বক্সারে ভিতরে ঢুকে যাওয়ার সাহস না হলেও, হাতির পালের শেষ মুহূর্ত টুকু ক্যামেরা বন্দি করেছেন তাঁরা।
এই পর্যটকদলের মধ্যে রায়গঞ্জ শহরের চারজনের একটি পর্যটক দলও ছিল। তাঁদের মধ্য়ে কৌশিক সেন, তপন বসাক খুবই উচ্ছ্বসিত এমন অভূতপূর্ব দৃশ্য দেখে। এশিয়ানেট নিউজ বাংলাকে তাঁরা জানালেন মনে কথা। (Elephants at Jayanti Alipurduar District)
হাতি দেখতে পেয়ে রোমাঞ্চিত রায়গঞ্জের পর্যটক কৌশিক সেন, তপন বসাক বলেন, জয়ন্তী ঘুরতে এসে প্রকাশ্য রাস্তায় এভাবে হাতির দর্শন পেয়ে যাবো ভাবিনি। অভাবনীয় এই দৃশ্য আমরা ক্যামেরা বন্দী করে নিয়েছি। এ এক রোমাঞ্চকর অনুভূতি নিয়ে রায়গঞ্জ শহরে ফিরব আমরা। (Elephants at Jayanti Alipurduar District)
ধীরে ধীরে বক্সা জঙ্গলের মধ্যে মিলিয়ে যায় ওই হাতির পাল। একে কোভিডের দ্বিতীয় বর্ষে মানুষের ভ্রমণে বিপুল বাধা এসেছে। এখনও সেভাবে খোলেনি সব জাতীয় উদ্য়ানগুলিও। যারা এতদিন ধরে অপেক্ষায়, আচমকা গজদর্শনে এযেনও এক চূড়ান্ত সার্থকতা পর্যটকদের।
তবে সব জেলার বাসিন্দাদের কপালে এমন সৌভাগ্য জোটে না। বরং সমস্যা বাড়তে থাকে। সম্প্রতি ২০-২২ টি হাতি দলছুট হয়ে চলে আসে আউশগ্রামের নওয়াদার মাঠে। এরপরেই শুরু হয় সমস্যা।এদিকে এই ঘটনায় বনদপ্তরের উদসীনতার দিকেও আঙুল তোলে গ্রামবাসী। অনেকেই দাবি করেন বনকর্মীরা সঠিক ভাবে নজরদারি করলে এই ঘটনা ঘটতে পারত না। তবে শেষ অবধি টানা ৮ জদিন পর বাঁকুড়ার জয়পুর জঙ্গলে হাতিরপালকে পাঠাতে সক্ষম হয় বনবিভাগ।
আউশগ্রামে দিনভর হাতির পালের তাণ্ডবের আটদিন পর রাতে তাদের খানিক বাঁকুড়ামুখী করতে সফল হন বনকর্মীরা।গলসির পারাজ স্টেশনে দাঁড়িয়ে যায় বিহারের রৌক্সোলগামী আপ মিথিলা এক্সপ্রেস। হুলাপার্টির লোকজন মশাল জ্বালিয়ে দামোদর পার করায়। ভোর সাড়ে চারটার সময় হাতির পাল দামোদর নদ পেরিয়ে বাঁকুড়ার জঙ্গলে ঢোকে।