Crocodile in Hooghly: শ্রীরামপুরে গঙ্গার ঘাটে দেখা মিলল আস্ত কুমিরের, ব্যাপক চাঞ্চল্য গোটা এলাকায়

কালিবাবুর শ্মশানঘাট এই ধরণের ঘটনা সাম্প্রতিককালে ঘটেছে বলে এলাকার বাসিন্দারা মনে করতে পারছেন না। মরা কুমির দেখতে সকাল থেকেই মানুষের ঢল নামে ওই এলাকায়।

Jaydeep Das | Published : Dec 7, 2021 4:04 PM IST

এদিকে সুন্দরবনে(Sundarban) বাঘের(Tiger) আক্রমণে ঘুম উড়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের, অন্যদিকে দিনে দুপুরে গঙ্গার বুকে কুমিরের দেখা মিলল হুগলীতে। মঙ্গলবার হুগলীর শ্রীরামপুর(Serampore) কালিবাবুর শ্মশানঘাটের কাছে গঙ্গার ধারে মিলল মরা কুমির(Crocodile)। কচুরিপানার মধ্যে উল্টোনো অবস্থায় কুমিরটি পড়ে ছিল বলে জানা যায়। গঙ্গাস্নান করতে এসে স্থানীয় বাসিন্দারা প্রথমে কুমিরটিকে দেখে আঁতকে ওঠেন। চাঞ্চল্য পড়ে যায় গোটা এলাকায়। পরবর্তীতে দেখা যায় প্রাণ নেই কুমিরটির দেহে। এদিকে কালিবাবুর শ্মশানঘাট এই ধরণের ঘটনা সাম্প্রতিককালে ঘটেছে বলে এলাকার বাসিন্দারা মনে করতে পারছেন না। মরা কুমির দেখতে সকাল থেকেই মানুষের ঢল নামে ওই এলাকায়।

অন্যদিকে স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন আজ সকাল থেকেই দুর্গন্ধ বের হচ্ছিল কালিবাবুর শ্মশানঘাট চত্বর থেকে। কিন্তু ওই পচা গন্ধের উৎস কোথায় তা শুরুতে কেউই ঠাহর করতে পারছিলেন না। এদিকে কুমিরের দেখা মেলায় এবার থেকে ওই এলাকায় গঙ্গাস্নান করা এবার ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে গেল বলেই মত এলাকাবাসীদের। এদিকে কুমির উদ্ধারের খবর মিলতেই শ্রীরামপুর পুরসভা থেকে স্যানিটারি ইন্সপেক্টর অনুজ ব্যানার্জি এসে পুরো অকুস্থল ঘুরে দেখেন। পরবর্তীতেত বন দপ্তরের কর্মীরা এসে মৃত কুমিরটি তুলে নিয়ে যায়। সূত্রের খবর, কুমিরটির ময়নাতদন্তের জন্য গড়চুমুক নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অনেকের অনুমান কুমরটি অন্য কোথাও বিগত কয়েকদিন আগে মারা যায়। পরবর্তীতে জলে তোড়ে ভাসতে ভাসতে শ্রীরামপুরে চলে আসে।

আরও পড়ুন-চন্ডীতলায় একই পরিবারের ৩ জনকে কুপিয়ে খুন, মূল অভিযুক্তের দেহ উদ্ধার রেললাইনে

এদিকে কুমির দেখে চিন্তায় পড়ে গেছেন এলাকাবাসী। তাঁরা প্রায় প্রতিদিনই গঙ্গাস্নান করেন ওই ঘাটে। ভয়ে অনেকেই আর গঙ্গাস্নান করবেন না বলে ঠিক করেছেন। যদিও তাদের আশ্বাস দিচ্ছেন বনকর্মীরা। এটা যে একপ্রকার বিচ্ছিন্ন ঘটনা সেই বিষয়ে সাধারণ মানুষকে বোঝানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। যদিও তারপরেও কতটা উদ্বেগ ঠেকানো যায় এখন সেটাই দেখার। তবে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন শ্রীরামপুরের পৌরসভার প্রশাসক মণ্ডলীর সদস্য সন্তোষ সিং। এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “এই ঘাটে প্রচুর মানুষ স্নান করেন। হঠাৎ করে এমন কুমির চলে এল, এটা রীতিমতো ভয়ের ব্যাপার। এইবারে না হয় মৃত কুমির এসেছে। এরপর হঠাৎ করে জীবিত কুমির চলে এলে খুব সমস্যা তৈরি হবে।” তবে কুমিরটি কী ভাবে, বা কোথা থেকে ওই এলাকায় চলে এল বিষয়ে দিশাহীন বন দপ্তরের(Forest Department) কর্মীরাও।

Share this article
click me!