ঘূর্ণিঝড় যশ-এর মোকাবিলায় তৎপরতার সঙ্গে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ। নবান্নের পাশাপাশি রাজ্য সরকার অ্যানেক্স বিল্ডিং উপান্নতে একটি বিশেষ কন্ট্রোলরুম খুলেছে। সেখান থেকেই বুধবার রাত জেগে প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় সব রকম ব্যবস্থার তদারকি করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। করোনাভাইরাসের সংক্রমণে রুখতে রাজ্য চলছে রীতমত কঠোর লকডাউন চলছে। এই অবস্থায় লকডাউন বিধি সামান্য শিথিল করে শুরু হয়েছে প্রয়োজনীয় পণ্য পরিষেবা। একই সঙ্গে কৃষি পণ্য সরানোর কাজও শুরু হয়েছে।প্রাকৃতির তাণ্ডবের কারণে করোনা আক্রান্তের চিকিৎসার যাতে কোনও ব্যাঘাত না ঘটে সেদিকেও বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে। অক্সিজেনসহ করোনা চিকিৎসার প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহ করা হয়েছে কোভিড হাসপাতালগুলিতে।
অন্যদিনে রবিবার সকালে ভারতীয় বিমান বাহিনীর ২১ টন প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও ৩৩৪ জন জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিবার বাহিনীর সদস্যকে পাটনা, বারানসী, আরাককনাম থেকে কলকাতা ও পোর্ট ব্লেয়ারে নিয়ে গেছে। ব্যবহার করা হয়েছে বায়ু সেনার সি ১৩০ বিমানটি। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে বায়ু সেনার তিনটি সি ১৩০,চারটি এএন ৩২, দুটি ডারনিয়ার পরিবহণ বিমান। এছাড়াও প্রস্তুত রাখা হয়েছে গুটি চেতক ও দুটি চিতা হেলিকপ্টার।
আলিপুর হাওয়াদফতর রবিবার জানিয়েছে, গভীর নিম্মচাপটি দিঘা উপকূল থেকে ৬৭০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। ধীরে ধীরে শক্তি বাড়িয়ে এটি ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড়ের আকার নিতে পারে। বুধবার সন্ধ্যেবেলা ওড়িশার পারাদ্বীপ ও পশ্চিমবঙ্গের সাগরের মধ্যবর্তী উপকূলবর্তী এলাকায় আছড়ে পড়তে পারে। স্থলেভাগে আছড়ে পড়ার সময় এর যশ-এর গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ১৫৫-১৬৫ কিলোমিটার। সেই কারণে এখন থেকেই উপকূলবর্তী এলাকায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে। কোভিড বিধি মেনেই স্থানীয় বাসিদ্ধান্তের উদ্ধার কাজে জোর দেওয়া হয়েছে। সোমবার থেকেই গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে বৃষ্টি শুরু হতে পারে বলেও পূর্বাভাস দিয়েছে।