ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কায় দক্ষিণবঙ্গের জেলা মুর্শিদাবাদ ফারাক্কা সংলগ্ন 'গঙ্গা' পাড়ে সকাল থেকেই ব্যাপক সতর্কবার্তা। পূর্ববর্তী আমফানের স্মৃতি এখনও তাজা হয়ে রয়েছে।
পূর্ববর্তী আমফানের স্মৃতি এখনও তাজা হয়ে রয়েছে। ২০২০-র ২০ মে বিপুল গতিতে আছড়ে পড়েছিল সেই ঘূর্ণিঝড়। সেই ক্ষত মিলিয়ে যেতে না যেতেই বুধবার সকাল থেকে আবারও চোখ রাঙাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় 'যশ'।
আরও পড়ুন, 'যশে ৫১ বাঁধে ভাঙন-ঢুকবে গঙ্গার জল', ডুবতে পারে কি কলকাতা, কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী
প্রবল শক্তি সঞ্চয় করে সেটি এদিন পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলাতে যশ প্রভাব ফেলবে। সেই আতঙ্কেই দক্ষিণবঙ্গের মুর্শিদাবাদের উত্ততর প্রান্ত মালদা সংলগ্ন ফারাক্কা ও লাগোয়া বিস্তীর্ণ গঙ্গা পাড় এলাকায় ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’-র ক্ষয় ক্ষতির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। সেই কারণেই আগাম সতর্কবার্তা দিয়ে প্রচার শুরু করল প্রশাসন। ফরাক্কা ব্লক-সহ নদীর ধারের এলাকায় মাইকের মাধ্যমে প্রচার চালানো হয়।জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, ‘যশ’ নিয়ে প্রচারে উদ্যোগী হয়েছেন ফরাক্কার বিডিও সঞ্জয় বিশ্বাস। তাঁর গাড়িচালক গোপাল চক্রবর্তী নিজে মাইক হাতে নিয়ে ফরাক্কা ব্লকের বিভিন্ন এলাকায় প্রচার করছেন। নদীর আশপাশের এলাকার মানুষদের ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’ নিয়ে সতর্কবার্তা দেন তিনি। পাশাপাশি, মৎস্যজীবীদের নদীর কিনারায় যেতেও নিষেধ করেন সঞ্জয়।
আরও পড়ুন, যশের জেরে দিঘাতে ওয়াচ টাওয়ার ছাপিয়ে জলোচ্ছ্বাস, ভাসছে গাড়ি, বন্ধ করা হল শহরের ফ্লাইওভার
প্রসঙ্গত, বুধবার ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে ঝোড়ো হাওয়ার পাশাপাশি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বুধবার ঘূর্ণিঝড়ের জেরে রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলায় ঝোড়ো হাওয়ার গতি বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে চলবে বৃষ্টিপাতও। তাই ফারাক্কা জুড়ে চলছে এই বিশেষ সতর্কবার্তা ব্যবস্থা। প্রসঙ্গত, প্রবল শক্তি নিয়ে ল্যান্ডফল করেছে ঘূর্ণিঝড় যশ (Cyclone Yaas)। যশের ভয়ঙ্কর রুপ আরও বাড়িয়ে তুলেছে ভরা কোটাল। কারণ একে সঙ্গে বুদ্ধপূর্ণিমা এবং তার উপর পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণের জেরে যশের আরও শক্তি প্রদর্শনের সম্ভবনা রয়েছে। বুধবার বেলা ১২ টার মধ্যে যশ (Yaas) ল্য়ান্ডফলের সময় ঘূর্ণীঝড়ের গতিবেগ হতে পারে ১৩০ থেকে ১৪০ কিমি। ইতিমধ্যেই উপকূলবর্তী এলাকায় প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে,রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বুধবার বজ্রবিদ্যুৎ সহ মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হওয়ার প্রবল সম্ভবানা রয়েছে।