মালদায় গণধর্ষণের শিকার আদিবাসি যুবতী, ছাড় পেল না তার বোনও - গ্রেফতার ১, পলাতক ৪


যৌন নির্যাতনের শিকার দুই আদিবাসি যুবতী

বড়বোনকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করা হল

ছোট বোন-ও যৌন হেনস্থার শিকার

মালদার হবিবপুরের ঘটনা

amartya lahiri | Published : Jun 9, 2021 11:21 AM IST

পশ্চিমবঙ্গেও যৌন নির্যাতনের শিকার হল দুই আদিবাসি যুবতী। সম্পর্কে তারা দুই বোন। বড়বোনকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করা হয় এবং ছোট বোনকে ধর্ষণ না করা হলেও সেও যৌন হেনস্থার শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে মালদার হবিবপুরে। এই ঘটনায় ৫ জন অভিযুক্তের নাম উঠে এসেছে, তারা প্রত্য়েকেই আদিবাসী সমাজেরই। এরমধ্যে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, বাকিরা পলাতক।

নির্যাতিতা দুই বোন, বড়জনের বয়স ১৯, ছোটজন ১৬, হবিবপুরের মঙ্গলপুরা গ্রামের বাসিন্দা। জানা গিয়েছে মঙ্গলবার রাতে বাড়ির কাছেই একটি বিয়ে ছিল, সেখানে কন্যাযাত্রী গিয়েছিল ওই দুই বোন, সঙ্গে গ্রামের আরও অনেকেই ছিলেন। রাতে প্রত্য়েকেই আলাদা আলাদা ভাবে ফিরে আসেন। আদিবাসী ওই দুই বোনের পর ফিরতে ফিরতে রাত ১১টা বেজে যায়।

পুলিশকে দেওয়া নির্যাতিতাদের বয়ান অনুযায়ী বাড়ি ফেরার পথে আচমকাই দুইটি মোটরবাইক তাদের পথ আটকেছিল। সেই দুটি বাইকে মোট ৫ জন যুবক ছিল। তাদের মধ্য়ে দুজন বড় বোনকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে যায় পাশের একটি পুকুর পাড়ে। সেখানে তারা পর পর ওই আদিবাসী যুবতীকে গণধর্ষন করে। ছোটবোনকেও বাকি তিনজন পুকুরপাড়ে নিয়ে আসলেও, তাকে ধর্ষণ করা হয়নি বলেই জানিয়েছে পুলিশ। তবে যৌন হেনস্থার শিকার হতে হয়েছে তাকেও।

এরপর তারা বাড়ি ফিরলে, আত্মীয়রা তাদের দেরি হওয়ার কারণ জিজ্ঞাসা করে। অভিযুক্তরা ওই দুই বোনের বাড়ির কাছাকাছিই থাকে, বলে জানিয়েছে পুলিশ। তাই তাদের মুখচেনা ছিলই, তবে নাম জানা ছিল না। তাদের কাছ থেকে সবটা জানতেই তাদের বাড়ির লোকজন পাড়া প্রতিবেশীদের নিয়ে ওই দুষ্কৃতীদের খোঁজে বের হয়। তারাই এক অভিযুক্তকে ধরে ফেলে। তবে বাকিরা পালিয়ে যায়। এরপর পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে ওই অভিযুক্তকে আটক করে এবং মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নির্যাতিতা দুই বোনের চিকিৎসা ও মেডিক্যাল পরীক্ষার ব্যবস্থা করে।

মালদা জেলার পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া জানিয়েছেন, হবিবপুরের ওই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ঘটনার গুরুত্ব বিচারে এই ঘটনার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে হবিবপুর থানার ওসি-কে। আটক অভিযুক্তকে জিঞ্জাসাবাদ করে আরও ৪ জনের নাম-পরিচয় জানা গিয়েছে। তাদের সন্ধান চলছে। খুব তাড়াতাড়ি তাদের আটক করা যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন এসপি রাজোরিয়া। তিনি আরও জানিয়েছেন, ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তদের মধ্যে দুজন জড়িত ছিল বলে তারা জানতে পেরেছেন। ঘটনায় বাকিদের কী ভূমিকা ছিল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Share this article
click me!