উত্তম দত্ত, হুগলি-প্রাণঘাতী চিনামাঞ্জা সংক্রান্ত মামলার নির্দেশিকায় সতর্কতা জারির নির্দেশ আগেই দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। শহরের বিভিন্ন জায়গায় চিনা মাঞ্জার দৌরাত্ম্য নিয়ে আগেই সতর্কতা অবলম্বন করেছে পুলিশ। বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে উদ্ধার হয়েছে প্রচুর চিনা মাঞ্জা। কিন্তু রাজ্যের মধ্য়ে আস্ত কারখানার হদিশ মিলবে তা হয়তো নিজেই অনুমান করতে পারেনি।
হুগলির চন্দননগরে চিনা মাঞ্জা তৈরির কারখানার হদিশ পেল পুলিশ। গোপন সূত্রে অভিযান চালিয়ে এলাকার দিনেমারডাঙায় খোঁজ মিলল চিনা মাঞ্জা কারখানার। এত পরিমান চিনা মাঞ্জা দেখে চোখ কপালে উঠেছে তদন্তকারীদের। জানাগেছে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে এদিন অভিযান চালায় চন্দননগর কমিশনারেটের পুলিশ। বিশ্বকর্মা পুজোর আগে ঘুড়ি উৎসবের মরশুমে এই উদ্য়োগ নেওয়া হয় পুলিশের তরফে। আর সেখানেই মিলল সাফল্য। কারখানার মালিক মিঠুন চক্রবর্তীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, এদিন কারখানায় অভিযান চালিয়ে প্রচুর পরিমাণ চিনা মাঞ্জা বাজেয়াপ্ত করে এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ। কারখানার ভিতর পাহাড়ের মতো সাজানো রয়েছে চিনা মাঞ্জা। কারখানার মালিক মিঠুন চক্রবর্তীকে সঙ্গে নিয়ে আরও কয়েকটি জায়গায় অভিযান চালায় পুলিশ। বাজেয়াপ্ত হয় প্রচুর চিনা মাঞ্জা। ঘটনায় কারখানার এক কর্মীকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের আদালতে তোলা হলে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। পুলিশের এই উদ্য়োগকে স্বাগত জানিয়েছেন পক্ষীপ্রেমীরা। কেননা, এই চিনা মাঞ্জার কারনে প্রচুর পাখির ডানা কেটে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে।