পরাগ মজুমদার : মেয়ের আবদার মেটাতে কাঁচের চুড়ি কিনে আনতে গিয়ে ঘরের থেকে মেয়ের রহস্যজনক দেহ উদ্ধার। শেষ পর্যন্ত এমন কাণ্ড ঘটবে তা দুঃস্বপ্নেও বোধহয় কল্পনা করে উঠতে পারেনি মা। পাশের বাজার থেকে বছর-দশেকের সুরাইয়া খাতুনের আবদার মেটাতে মা বাড়ির পাশে বাজার থেকে কাঁচের চুরি কিনে বাড়ি ফিরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার মুখে থ বনে গেলেন ঘরের দরজা খুলে।মেঝের উপর গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় মৃতদেহ পড়ে রয়েছে ছোট্ট সুরাইয়ার।
ঘরেই যখন 'বিভীষণ',মমতার ভাগ্যে কটা আসন
ভগবানগোলা থানার বর্ষাতি গোলা এলাকায় এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পেশায় দিনমজুর রহমান শেখের দুই সন্তান। বড় সুরাইয়া। আরেকজন মাস কয়েকের সদ্যোজাত শিশু। ফলে পরিবারের মুখে অন্ন জোগাতে দিনরাত কাজের খোঁজে বাড়ির বাইরেই থাকতে হয় রহমানকে। ফলে পরিবারের যাবতীয় খুঁটিনাটি কাজ থেকে শুরু করে সন্তানের দেখভাল সমস্ত কিছুই উপর নজর রাখতে হয় তার স্ত্রী রুকসানাকে।
করোনা আক্রান্ত কলকাতার পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা
এদিন ছোট্ট সুরাইয়া তার মায়ের কাঁচের একজোড়া চুড়ি কিনে দেওয়ার বায়না করে। সেই বায়না মত মা রুকসানা বিবি মেয়েকে বাড়িতে রেখে বাজারে যাই। তারপর এই আচমকা সন্ধ্যা নাগাদ বৃষ্টি শুরু হলে তড়িঘড়ি রুখসানা বাড়ি ফিরে আসে। ঘরের দরজা খুলতেই মেঝের উপর গলায় ওড়না লাগানো অবস্থায় মেয়ের দেহ দেখতে পাই মা। তারপরেই চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করলে পাড়া-প্রতিবেশীরা সেখানে ছুটে আসে। যদিও কিভাবে এই ঘটনা ঘটলো তা নিয়ে যথেষ্ট ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। মেয়ের মৃত্যুর রহস্য তদন্ত করতে মা রুখসানা দেহের পোস্টমর্টেম করতে অনিচ্ছা প্রকাশ করে। এমন ঘটনাই হতবাক পাড়া-প্রতিবেশীরাও। শেষ পর্যন্ত এই রহস্যজনক মৃত্যু রহস্যের কিনারা কিভাবে হয় সে দিকে চেয়ে রয়েছে সকলে।
পিসির রাজত্বে ভাইপোর কীসের ভয়,কঙ্গনা প্রসঙ্গে মহুয়াকে পাল্টা বাবুলের