শিলিগুড়িতে গান-স্য়ালুটে শেষশ্রদ্ধা শহিদ সুভাষ থাপাকে, সোমবার শেষকৃত্য

 

  • কফিনবন্দি হয়ে নিজের শহর শিলিগুড়িতে ফিরলেন শহিদ সুভাষ থাপা
  • বাগডোগরা বিমানবন্দরের বাইরে তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে হাজির ছিলেন বহু মানুষ
  • শহিদকে শ্রদ্ধা জানান মন্ত্রী গৌতম দেব-সহ প্রশাসনের আধিকারিকরা
  • রবিবার শেষকৃত্য হবে শিলিগুড়ি পাণিঘাটিতে

Asianet News Bangla | Published : Oct 13, 2019 2:05 PM IST / Updated: Oct 13 2019, 07:41 PM IST

অপরাহ্নে যখন সূর্য অস্তগামী, ঠিক তখনই শেষবারের মতো নিজের শহর শিলিগুড়িতে পৌঁছলেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর জওয়ান সুভাষ থাপা, কফিনবন্দি হয়ে।  বাগডোগরা বিমানবন্দরের বাইরে প্রয়াত সহকর্মীকে প্রথামাফিক গান স্যালুট দিয়ে শ্রদ্ধা জানালেন সেনাবাহিনীর আধিকারিকরা।  শহিদ সুভাষ থাপাকে শেষশ্রদ্ধা জানাতে রবিবার বাগডোগরা বিমানবন্দরে হাজির হয়েছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী গৌতম দেব, শিলিগুড়ি  মহকুমা পরিষদের সভাধিপতি তাপস সরকার, দার্জিলিংয়ের জেলাশাসক-সহ আরও অনেকে।  রাতে মরদেহ রাখা থাকবে ব্যাঙ্কডুবির সেনা হাসপাতালে।  সোমবার দেহ নিয়ে যাওয়া হবে শিলিগুড়ির পাণিঘাটিতে, গোর্খা রেজিমেন্টের জওয়ান সুভাষ থাপার বাড়িতে। সেদিনই হবে শেষকৃত্যও। 

শিলিগুড়ির পাণিঘাটির ছেলে সুভাষ থাপা। অল্প বয়েসেই যোগ দিয়েছিলেন সেনাবাহিনীতে। গোর্খা রেজিমেন্টে জওয়ান ছিলেন তিনি। কর্মস্থল ছিল কাশ্মীর।  সেনাবাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, শুক্রবার কাশ্মীরের নৌসেরা সেক্টরে যখন টহল দিচ্ছিলেন সুভাষ, তখন তাঁর শরীরের স্প্রিন্টারের আঘাত লাগে। তড়িঘড়ি তাঁকে নিয়ে সেনা হাসপাতালে। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি, সেদিন রাতেই মারা যান গোর্খা রেজিমেন্টের ওই জওয়ান। তাঁর মৃত্যুর খবর পৌঁছতেই শোকে ছায়া নামে শিলিগুড়ির পাণিঘাটিতে. শহিদের পাড়ায়।

রবিবার বিকেল চারটে নাগাদ বিমানে সুভাষ থাপার মৃতদেহ নিয়ে শিলিগুড়ির বাগডোগরা বিমানবন্দরে পৌঁছন সেনাবাহিনীর পদস্থ আধিকারিকরা।  শহিদকে শেষশ্রদ্ধা জানাতে ততক্ষণে বিমানবন্দরের বাইরে ভিড় জমিয়েছেন কাতার কাতারে সাধারণ মানুষ। সকলেরই হাতে জাতীয় পতাকা। 'সুভাষ থাপা জিন্দাবাদ' স্লোগানও ওঠে।  ছিলেন মন্ত্রী গৌতম দেব, শিলিগুড়ি  মহকুমা পরিষদের সভাধিপতি তাপস সরকার, দার্জিলিংয়ের জেলাশাসকও।  প্রথমে ঠিক ছিল, রবিবার শিলিগুড়ির পাণিঘাটির বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হবে মরদেহ, হবে শেষকৃত্যও।  কিন্তু বাগডোগরা বিমানবন্দরে দেহ পৌঁছতেই বিকেল হয়ে যায়।  রাতে আর সুভাষ থাপার মরদেহ তাঁর বাড়িতে যাওয়া হয়নি।  

Share this article
click me!