জাল আধার বানানো হচ্ছে। সেই জাল কার্ড দিয়ে রাজ্যে প্রবেশ করতে পারে বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীরা। তেমনই আশঙ্কা বাড়ছে দিনে দিনে। এবার সেই আশঙ্কার কথা সংবাদমাধ্যমের সামনে এনে বোমা ফাটালেন বিজেপি বিধায়ক। তাঁর দাবি কেঁচো খুঁড়তে বেরোবে কেউটে। কারণ ইতিমধ্যেই মুর্শিদাবাদে জাল আধার কার্ড চক্রের কার্যকলাপ সামনে এসেছে।
এদিন দক্ষিণ মুর্শিদাবাদ জেলা বিজেপির সভাপতি তথা মুর্শিদাবাদ বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক গৌরী শংকর ঘোষ জাল আধার কার্ড চক্র কান্ডে সিবিআই তদন্তের দাবি জানান।
সম্প্রতি রাজ্যজুড়ে চলতে থাকা দেবাঞ্জন দেবের ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডে রাতের ঘুম ছুটেছে সাধারণ মানুষের। এক এক করে তার সাথে নাম জড়াতে শুরু করেছে তৃণমূলের প্রভাবশালী নেতা মন্ত্রীদের। এরই মাঝে ইন্দো-বাংলা সীমান্তের মুর্শিদাবাদে জাল আঁধার কার্ড তৈরীর চক্র ফাঁস হতেই রীতিমতো অজানা আতঙ্ক তৈরি হয়েছে জেলাবাসীর মধ্যে। যা নিয়ে সরব হয়েছেন বিজেপি বিধায়ক।
কার্যত এই ঘটনায় রীতিমতো বাংলাদেশ থেকে বেআইনি অনুপ্রবেশকারী দেশের অভ্যন্তরে ঢুকে যাওয়ার আশঙ্কার কথা তিনি জানিয়ে বুধবার সরব হন সংবাদমাধ্যমের সামনে। শুধু তাই নয় যাবতীয় ঘটনায় দ্রুত জোরালো সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়ে এদিন শুরুতেই তীব্র কটাক্ষ করে তিনি বলেন," এটা কোনও সাধারন মানুষের কাজ নয়,এই আধার কার্ড জালিয়াতি হচ্ছে সরকারের মদতে এবং প্রশাসনের সহযোগিতাই তাও স্পষ্ট। পশ্চিমবঙ্গের কোন এজেন্সি দিয়ে এই তদন্ত করলে চলবে না । দেশের অখণ্ডতা রক্ষা করতে এই ঘটনার সিবিআই তদন্ত হওয়া উচিত"।
সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা প্রশ্নের মুখে পড়েছে বলেই গৌরী বাবু বলেন। কিভাবে দিনের পর দিন এভাবে আধার কার্ডের মত এত গুরুত্বপূর্ণ বায়োমেট্রিক তথ্য সম্পূর্ণ জান কার্ড মুর্শিদাবাদে বসে দিনের পর দিন রমরমিয়ে তৈরি হচ্ছিল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। সেক্ষেত্রে পুরো ঘটনায় শাসক দলের প্রভাবশালী নেতা-মন্ত্রী তথা রাঘব বোয়ালেরা জড়িয়ে আছেন বলেই তিনি দাবি করেন সংবাদমাধ্যমের সামনে।