ধর্নায় বসে দাবি আদায় করে নেন অনেক রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীরা। এবার ধর্না দিয়েই প্রেমিকার মন পেলেন প্রেমিক। দিনভর প্রেমিকার বাড়ির সামনে ধর্না দেওয়ার পরে শেষ পর্যন্ত দু' জনের চার হাত এক হল।
ঘটনার সূত্রপাত সোমবার সকাল থেকে। অনন্ত বর্মণ নামে জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ির সারদাপল্লির বাসিন্দা অনন্ত বর্মণের সঙ্গে শহরের চাকলাপাড়ার বাসিন্দা লিপিকা বর্মণের দীর্ঘদিনের প্রেমেক সম্পর্ক ছিল। অনন্তের দাবি অনুযায়ী, তাঁদের আট বছরের প্রেম। যুবকের পরিবারেরও একই দাবি। কিন্তু সম্প্রতি অনন্ত জানতে পারেন, লিপিকার পরিবারের পক্ষ থেকে অন্যত্র তাঁর বিয়ে ঠিক করা হয়েছে। সোমবার লিপিকাকে দেখতে আলিপুরদুয়ার থেকেও পাত্রপক্ষও এসে উপস্থিত হয়।
খবর পেয়ে আগেভাগেই লিপিকার বাড়ির সামনে হাজির হন অনন্ত। পাত্রপক্ষকে বাড়িতে ঢুকতে বাধা দেন তিনি। প্রেমিকার বাড়ির সামনেই বিয়ে দাবিতে তিনি ধর্নায় বসে যান। প্রেমিকার পরিবার এবং ওই তরুণীর সঙ্গে বিয়ে ঠিক হওয়া পাত্রপক্ষও এর বিরুদ্ধে পুলিশে দ্বারস্থ হয়।
শেষ পর্যন্ত দিনভর প্রেমিকের ধর্নার এবং দুই বাড়ির মধ্যে আলোচনার পরে অনন্তের সঙ্গেই লিপিকার দিতে রাজি হয় তাঁর পরিবার। সন্ধেবেলাতেই লিপিকাকে অনন্তের বাড়ি নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রথমে তাঁকে সিঁদুর পরিয়ে দেন অনন্ত। এর পরে স্থানীয় ভাঙানি মন্দিরে দু' জনের আনুষ্ঠানিক বিয়ে হয়।
বিয়ের পরে লিপিকা স্বীকার করে নেন, অনন্তের সঙ্গে তাঁর দীর্ঘদিনের সম্পর্ক থাকলেও বাড়ি থেকে অন্যত্র বিয়ে দিতে চেয়েছিল। ফলে, সেই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে তিনি বাধ্য হন। অন্যদিকে দাবি আদায়ের পরে অনন্তের দাবি, তিনিই যে লিপিকার সঠিক জীবনসঙ্গী, তা প্রমাণ করে দেখাবেন।