রবিবার রাত নটার পর এই ব্যানার দেখা গিয়েছে মেদিনীপুর শহরের গান্ধী মোড় এলাকায়। যেখানে গেরুয়া রঙের এই ব্যানারে দিলীপ ঘোষের ছবি দিয়ে মেদিনীপুর খড়গপুর পৌর এলাকায় সাংসদের উন্নয়ন করার টাকা কোথায় কীভাবে আটকে রয়েছে তার হিসেব দেওয়া হয়।
মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদ (Medinipur BJP MP) দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) মুখে একাধিকবার শোনা গিয়েছে যে, তিনি এলাকার উন্নয়নের চেষ্টা করলেও তাতে বাধা দিচ্ছে তৃণমূল। সোশ্যাল মিডিয়াতেও (Social Media) বিস্ফোরক অভিযোগ করেছিলেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, তাঁর সাংসদ তহবিল থেকে দেওয়া প্রায় ৭০ লাখ টাকা আটকে রাখা হয়েছে। তিনি লেখেন, “টাকা আটকে রেখে সুদটা খাচ্ছে রাজ্য সরকার (State Government)”। আর এবার সেই একই দাবিতে বড় বড় চারশোর বেশি ব্যানার দেওয়া হল মেদিনীপুর শহর ও খড়গপুর শহরে।
উল্লেখ্য, সাংসদরা বছরে এলাকা উন্নয়ন তহবিলে (এমপি ল্যাড) ৫ কোটি টাকা করে পান। তাঁরা প্রকল্পের সুপারিশ করেন। রূপায়ণের দায়িত্ব প্রশাসনের। মেদিনীপুরের সাংসদের এলাকা উন্নয়ন তহবিলের বরাদ্দ অর্থে প্রকল্প রূপায়ণের দায়িত্ব বর্তেছিল মেদিনীপুর-খড়গপুর উন্নয়ন পর্ষদের (Midnapore Kharagpur Development Authority) উপরে। দিলীপ ঘোষের অভিযোগ, তাঁর প্রায় ৭০ লক্ষ টাকা আটকে রাখা হয়েছে, কোনও কাজই হয়নি। উন্নয়নের কোটার টাকা মেদিনীপুর খড়গপুর ডেভেলপমেন্ট অথরিটি আটকে রেখেছে বলে অভিযোগ করেছিলেন। এই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতেও সরব হয়েছিলেন তিনি। আর এবার সেই একই অভিযোগে ব্যানার দেওয়া হল শহরের মেদিনীপুর ও খড়গপুরের বিভিন্ন জায়গায়।
আরও পড়ুন- প্রতিরক্ষা মন্ত্রীকে বাংলার ট্যাবলো চালুর দাবি জানিয়ে অধীরের চিঠি
রবিবার রাত নটার পর এই ব্যানার দেখা গিয়েছে মেদিনীপুর শহরের গান্ধী মোড় এলাকায়। যেখানে গেরুয়া রঙের এই ব্যানারে দিলীপ ঘোষের ছবি দিয়ে মেদিনীপুর খড়গপুর পৌর এলাকায় সাংসদের উন্নয়ন করার টাকা কোথায় কীভাবে আটকে রয়েছে তার হিসেব দেওয়া হয়। এখানে বলা হয়েছে মোট ১ কোটি ৩৭ লক্ষ টাকার উন্নয়ন প্রকল্প আটকে রাখা হয়েছে মেদিনীপুর খড়গপুর ডেভেলপমেন্ট অথরিটি পক্ষ থেকে।
এ প্রসঙ্গে বিজেপির জেলা নেতা আশীর্বাদ ভৌমিক বলেন, "সারা দেশজুড়ে বিজেপি সাংসদের উন্নয়নের টাকায় কাজ হচ্ছে। কিন্তু মেদিনীপুর খড়গপুর এই দুটি এলাকাতে উন্নয়নের টাকা আটকে রাখা হয়েছে। জেলাশাসককে বার বার ফোন করলেও পাওয়া যায় না। তাই আটকে রাখা টাকার হিসেব চেয়ে চারশোর বেশি জায়গায় পোস্টার-ব্যানার আকারে দিয়ে আমরা জবাব চেয়েছি।"
যদিও এনিয়ে জেলাশাসকের কোর্টে বল ঠেলে দিয়েছেন এমকেডিএ-এর ভাইস চেয়ারম্যান তথা তৃণমূলের জেলা নেতা প্রদ্যোত ঘোষ। তিনি বলেন, "সাংসদ কোটার উন্নয়নের টাকা আসে জেলাশাসকের মাধ্যমে। কোথায় কীভাবে খরচ হচ্ছে তা জেলাশাসক দেখেন। সম্প্রতি অথরিটির একটি বৈঠকের পর যে কয়েকটি ছোটখাটো প্রকল্পের কাজ পড়েছিল সেগুলোর টেন্ডার প্রসেস শুরু হয়ে গিয়েছে। দিলীপ ঘোষ ও তাঁর লোকজন সামনেই পৌর নির্বাচন আসছে দেখে আগে থেকে সাফাই দেওয়ার জন্য একটা গল্প তৈরি করেছেন। পৌর নির্বাচন আসছে দেখে এগুলো নিয়ে ওরা রাজনীতি করছে।"