সিএএ নিয়ে লাগাতার বিরোধিতারপথে নেমেছে বামেরা। খোদ প্রধানমন্ত্রীকে এ নিয়ে বাক্য়বান শানাতে পিছপা হননি বামফ্রন্টের নেতারা। যদিও সিএএ বোঝাতে বিরোধীদের অচ্ছুৎ ভাবলেন না বিজেপির রাজ্য় সভাপতি। সরাসরি পৌঁছে গেলেন আরএসপি বিধায়কের বাড়িতে।
সাধারণতন্ত্র দিবসে সিএএ নিয়ে নজর কাড়তে ব্যস্ত ছিল সব দলই। পিছিয়ে থাকেনি বিজেপিও। রবিবার সকালে নাগরিকত্ব আইন বোঝাতে বালুরঘাটের আরএসপি বিধায়ক বিশ্বনাথ চৌধুরীর বাড়িতে গেলেন দিলীপ ঘোষ। চুপচাপ না থেকে কেন মোদী সরকার সিএএ এনেছে তা বিস্তারিতভাবে বোঝালেন বিধায়ককে। তবে শুধু বিধায়ককে সিএএ নিয়ে বুঝিয়ে কাজ সারেননি তিনি। পাশাপাশি নাগরিকত্ব আইন প্রসঙ্গে সঙ্গে কথা বলেন স্থানীয় মানুষজনের সঙ্গে। নাগরিকত্ব আইনের প্রচার করেন এলাকায়। পথে নমে দেখা করেন শহরের বেশকিছু গণ্যমান্য ব্যক্তির সঙ্গে।
এদিনই দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বুনিয়াদপুরে সিএএ- র সমর্থনে মতুয়া মহাসঙ্ঘের উদ্যোগে মিছিলে অংশ নেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি। সিএএ অভিনন্দন যাত্রার পরে এক সভার আয়োজন করা হয় বুনিয়াদপুরে। সেখানে বক্তব্য রাখেন দীলিপ ঘোষ সহ জেলা ও রাজ্যের আরও নেতৃবৃন্দ। এদিনের এই অভিনন্দন যাত্রায় বিপুল জনসমাগম হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের দিলীপবাবু বোঝান, সিএএ আইন কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার জন্য় করেনি সরকার। এটা পুরোপুরি প্রতিবেশী দেশ থেকে ধর্মীয় উৎপীড়নের শিকার হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, জৈনদের জন্য় করা হয়েছে। যারা এদেশে আশ্রয় নিয়েছেন।