২০২১ পর্যন্ত তৃণমূলই থাকবে না, প্রশান্ত-মমতা বৈঠককে কটাক্ষ দিলীপের

  • বৃহস্পতিবার প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে বৈঠক হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
  • তৃণমূলের রাজনৈতিক পরামর্শদাতা হিসেবে প্রশান্ত কিশোর কাজ করবেন 
  • দিলীপের দাবি, তৃণমূলকে বাঁচাতে পারবেন না প্রশান্ত

debamoy ghosh | Published : Jun 7, 2019 4:20 AM IST

২০২১ পর্যন্ত তৃণমূল দলটাই থাকবে না। ফলে প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে বৈঠক করে কোনও লাভ হবে না মুখ্যমন্ত্রীর। এভাবেই মমতা- প্রশান্ত সাক্ষাতকে কটাক্ষ করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। 

বৃহস্পতিবার ব্যারাকপুরে বিজয় সমাবেশ করে বিজেপি। সেখানে দিলীপ ঘোষ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিংহ। তৃণমূলের একশোজন বিধায়ক বিজেপি-র সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন বলে এ দিনও হুঙ্কার দেন অর্জুন। 

বৃহস্পতিবার মহাকরণে রাজনৈতিক কৌশল ঠিক করতে পেশাদার পরামর্শদাতা হিসেবে বিখ্যাত প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। শোনা যাচ্ছে, ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের জন্য দলের রণকৌশল ঠিক করতে প্রশান্ত কিশোরের সংস্থাকে নিযুক্ত করেছে তৃণমূল। অতীতে ২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি-র হয়ে একই দায়িত্ব পালন করেছিলেন প্রশান্ত। এর পাশাাশি ২০১৫ সালে বিহারে জেডিইউ-এর ক্ষমতা দখল, ২০১৭ সালে পঞ্জাবে বিধানসভা ভোটে কংগ্রেসের সাফল্যের পিছনেও রয়েছে প্রশান্তের ঠিক করে দেওয়া কৌশল। তাঁর সাফল্যের সর্বশেষ উদাহরণ অন্ধ্রপ্রদেশে চন্দ্রবাবু নাইডু টিডিপি-কে ধরাশায়ী করে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জগন্মোহনের ওয়াইএসআর কংগ্রেসের ক্ষমতায় আসা। 

সেই বৈঠককেই বৃহস্পতিবার কটাক্ষ করেন দিলীপ। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, "নির্বাচনে জয়-পরাজয় ঠিক করেন মানুষ। তাঁদের হাতেই সবকিছু থাকে। ফলে কোনও প্রশান্ত কিশোর এসে তৃণমূলকে বাঁচাতে পারবেন না। কারণ ২০২১ পর্যন্ত তৃণমূল দলটাই থাকবে না।"

বিজয় সমাবেশের মঞ্চ থেকেও তৃণমূল নেত্রীকে তীব্র আক্রমণ করেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। তিনি বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, বিরোধী শূন্য পঞ্চায়েত হবে, তা হয়নি। তার পর বললেন, বিয়াল্লিশে বিয়াল্লিশ হবে, বিজেপি আঠারোটা আসন পেয়ে গেল। এবার বলছেন বিধানসভা ভোটে তৃণমূল জিতবে, মানুষ আর মুখ্যমন্ত্রীর কথা বিশ্বাস করছেন না।" এর সঙ্গে তাঁর সংযোজন, "পশ্চিমবঙ্গের মানুষ কংগ্রেস, সিপিএম, তৃণমূল, সবাইকে দেখে নিয়েছে। এবার তাঁরা একবার বিজেপি-কে চাইছেন। কারণ বিজেপি মানেই বিকাশ। আমাদের এক একজন প্রার্থী ৭ থেকে ৮ লক্ষ ভোট পেয়েছেন, যা আমরা কোনওদিন ভাবতে পারিনি।" এবারের নির্বাচনে উত্তর চব্বিশ পরগণার দুই কেন্দ্র ব্যারাকপুর এবং বনগাঁ আসনে জিতেছে বিজেপি। এই প্রসঙ্গ তুলে দিলীপ বলেন, "আগামী নির্বাচনে এই জেলার মানুষ তৃণমূলকে ছুড়ে গঙ্গায় ফেলে দেবেন।"

একা দিলীপ নন, ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিংহও এ দিন ফের তৃণমূলে ভাঙনের হুঙ্কার ছেড়েছেন। তিনি বলেন, "আরও অনেকগুলো পুরসভা আমরা দখল করতে চলেছি। একশোজন বিধায়ক আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। ফলে মুখ্যমন্ত্রী যে স্বপ্ন দেখছেন তা কোনওদিনও পূরণ হবে না।"

ব্যারাকপুরের সভায় তৃণমূল-সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে প্রায় ছ'শো কর্মী-সমর্থক বৃহস্পতিবার বিজেপি-তে যোগদান করেন। এর মধ্যে সরকারি কর্মীরাও রয়েছেন বলে দাবি করেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। 
 

Share this article
click me!