বাড়িটি গোয়ালঘরের উপর ভেঙে পড়ায় চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে তিনটি গবাদিপশু সহ বহু হাঁস-মুরগির। শুধু একটি বাড়িই নয়। কেশপুরে আরও কয়েকটি বাড়ি ভেঙে পড়েছে বলে জানিয়েছেন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি।
নিম্নচাপের জেরে নাগাড়ে বৃষ্টি হচ্ছে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায়। দু'দিনের টানা বৃষ্টির ফলে কেশপুরে ভেঙে পড়ল দোতলা মাটির বাড়ি। পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে আগেই প্রতিবেশীর বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন পরিবারের সদস্যরা। তবে বাড়িটি গোয়ালঘরের উপর ভেঙে পড়ায় চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে তিনটি গবাদিপশু সহ বহু হাঁস-মুরগির। শুধু একটি বাড়িই নয়। কেশপুরে আরও কয়েকটি বাড়ি ভেঙে পড়েছে বলে জানিয়েছেন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি।
আরও পড়ুন- সাঁতরাগাছিতে ট্রলির সঙ্গে ধাক্কা, বড় দুর্ঘটনা এড়াল হাওড়া-সেকেন্দ্রবাদ স্পেশাল
মঙ্গলবার সকালে এই ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুর থানার চরকা গ্রামে। এই গ্রামের বাসিন্দা শেখ আসিরুদ্দিন আলির বহু পুরনো দোতলা মাটির বাড়ি। পাশেই ছিল মাটির বড় একটি গোয়াল ঘর। দু'দিনের বর্ষণের ফলে মাটির বাড়িতে ফাটল ধরেছে তা বুঝতে পেরেছিলেন তিনি। সম্ভাব্য বিপদের আশঙ্কায় সোমবার রাতেই প্রতিবেশীর বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন। তবে বাড়ির কোনও জিনিসপত্র উদ্ধার করার সুযোগ পাননি। ভেবেছিলেন মঙ্গলবার সকালে দিনেরবেলা সেগুলি সরিয়ে নেবেন। কিন্তু সেই সুযোগ না দিয়ে মঙ্গলবার সকালে হুড়মুড়িয়ে দোতলা বিশাল মাটির বাড়িটি ভেঙে পড়ে পাশের গোয়াল বাড়ির উপরে। এর ফলে বাড়ি চাপা পড়ে গরু ও অন্য গবাদি পশুর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন- ধর্ষণের পর খুন করে ২ প্রেমিকার দেহ পুঁতেছিল মাটিতে, ৪ মাস পর উদ্ধার কম্বল মোড়া কঙ্কাল
আরও পড়ুন- তথ্য গোপনের অভিযোগ, ভবানীপুর উপনির্বাচনে মমতার মনোনয়ন বাতিলের দাবি বিজেপির
বাড়িটি ভেঙে পড়ার পর এগিয়ে আসেন গ্রামের বাসিন্দারা। উদ্ধারকাজে হাত লাগান তাঁরা। কিন্তু, কোনও কিছুই উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। খবর পেয়ে প্রশাসনের তরফে জেসিবি পাঠানো হয়। তাতেও উদ্ধার প্রক্রিয়া যথেষ্ট বিলম্ব হয়। শেষে গ্রামবাসীদের চেষ্টায় মৃত অবস্থায় গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগীগুলিকে উদ্ধার করা হয়। ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির মালিক আসিরুদ্দিন আলি কাঁদতে কাঁদতে বলেন, "জীবনের সব সঞ্চয় কাগজপত্র ও জিনিস বাড়ির তলায় চাপা পড়ে নষ্ট হয়েছে। এই মুহূর্তে কোনও খাবারও নেই আমাদের কাছে।"