চিনা সামগ্রী বয়কটের জের, কদর বেড়েছে মাটির প্রদীপের, আশায় বুক বাঁধছেন মৃৎশিল্পীরাও

  • চিনা সামগ্রী বয়কটের জেরে কি ফিরবে সুদিন?
  • দীপাবলীর আগে চাহিদা তুঙ্গে মাটির প্রদীপের
  • নতুন করে আশায় বুক বাঁধছেন মৃৎশিল্পীরা
  • কাজের চাপে দম ফেলার ফুরসৎ নেই তাঁদের
     

Asianet News Bangla | Published : Nov 13, 2020 10:47 AM IST

চিনের সামগ্রী বয়কটের হাত ধরেই কি সুদিন ফিরবে? করোনা আতঙ্কের মাঝে নতুন করে আশায় বুক বাঁধছেন মুর্শিদাবাদের মৃৎশিল্পীরা। এবার বাড়িতে মাটির প্রদীপ জ্বালিয়ে সাবেকি কায়দায় দীপাবলীর আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা। হরেক রকমের প্রদীপ তৈরি কাজও চলছে জোরকদমে।

আরও পড়ুন: বেলুড়ে বাজি ফাটানোর প্রতিবাদে বেধড়ক মার পুলিশকে, গুরুতর জখম হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ২

কথিত আছে, চোদ্দ বছরের বনবাস শেষে যেদিন অযোধ্যায় ফিরেছিলেন রামচন্দ্র, সেদিন শহরে দীপাবলী উৎসব পালন করেছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সেই রীতি মেনে এখনও কালীপুজোর আগে বাড়ি অলোকমালায় সাজিয়ে তোলেন প্রায় সকলেই। কিন্তু মাটির প্রদীপ কী আর জ্বালানো হয়! চিনের তৈরি এলইডি লাইটের কদরই বেশি। চেনা সেই ছবিটা কি এবার বদলাবে? মুর্শিদাবাদ জেলার মৃৎশিল্পীদের দাবি, করোনাভাইরাসের কারণে চিনের প্রতি বিদ্বেষ বেড়েছে আমজনতার। চিনা সামগ্রী আর ব্যবহার করতে চাইছেন না অনেকেই। ফলে কালীপুজোর আগে খুচরো ও পাইকারি বাজার থেকে প্রদীপ তৈরির বরাত আসতে শুরু করেছে।

আরও পড়ুন: শীতের আমেজে খলনায়ক ঘূর্ণাবর্ত, শহরের তাপমাত্রা এখনও স্বাভাবিকের উপরে

মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জে পালপাড়া এলাকায় বছরভর প্রদীপ-সহ মাটির বিভিন্ন সামগ্রী তৈরি করে জীবিকা নির্বাহ করে চল্লিশ পরিবার। কালীপুজোর আগে ব্যস্ততা বেড়েছে তাঁদের। সকাল থেকে সন্ধে পর্যন্ত কাজ করে চলেছে মৃৎশিল্পীরা। কেউ কেউ আবার কুড়ি হাজারের মতো মাটির প্রদীপ তৈরি করে রাখছেন। চার দশকের বেশি সময় ধরে মাটির সামগ্রী তৈরি করছেন জিয়াগঞ্জে পালপাড়ার বাসিন্দা বিনোদ পাল। তিনি বলেন, 'আগের থেকে এখন প্রদীপে চাহিদা অনেকে বেড়েছে। তবে দাম কিন্তু খুব বেশি বাড়েনি। চাহিদা বেশি থাকায় সমস্য়া হচ্ছে না। আমাদের কাছ থেকে কিনে নিয়ে দিয়ে প্রদীপ বিক্রি করেন ব্যবসায়ীরা।' আর এক মৃৎশিল্পী মিনতি পালের বক্তব্য,  'মাঝে চিনা তৈরি নানা সামগ্রী বাড়ি অলোকিত করতেন অনেকেই। কিন্তু এখন চিনের প্রতি ক্ষোভের কারণে সেইসব সামগ্রীর কদর কমেছে। এভাবে ব্যবসা চললে আমাদের ভালো হবে।' 

Share this article
click me!