হাতিদলটিকে জঙ্গলে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করতে তৎপর হয়েছে প্রশাসন। সে ক্ষেত্রে হুলা পার্টি ও কুনকি হাতির সাহায্য নেওয়া হতে পারে বলে বর্ধমান রেঞ্জের বনদপ্তর সূত্রের খবর।
পূর্ব বর্ধমানে ৪০টি হাতির হানায় নষ্ট হয়ে গেল বিঘের পর বিঘে জমির ফসল (A Herd Of Elephant Attack Paddy Filed in Galsi, Purba Bardhaman)। শীতের শুরু হতে না হতেই প্রতি বছরই বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে শুরু হয়ে যায় হাতির হানা (Bengal Elephant Attack)। এবার হালকা শীতের আমেজ (Winter Season) পড়তে না পড়তেই প্রায় চল্লিশটি হাতির একটি পাল দামোদর (Damodar River) পেরিয়ে ঢুকে পড়ল পূর্ব বর্ধমানে (Purba Badhman)। বৃহস্পতিবার ভোরে বাঁকুড়ার শালতোড়া জঙ্গল (Saltor Jungle, Bankura) থেকে দামোদর পেরিয়ে প্রায় চল্লিশটি হাতির দল পূর্ব বর্ধমানের গলসির রামগোপালপুর এলাকায় ঢুকে পড়ে। পিছনে আরো একটি পঁয়ত্রিশটি হাতির দল রয়েছে বলে বনদপ্তর সূত্রের খবর (West Bengal Forest Department)। হাতির দলটিতে দাঁতাল পুরুষ হাতির পাশাপাশি রয়েছে মহিলা ও শিশু হাতিও। হাতির দলটি গলসি এলাকায় প্রচুর ধানের জমি নষ্ট করে দিয়েছে বলে গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন।
এত বড় একটি হাতির দলকে কি করে বাগে আনা যায় তা ভাবতেই ঘাম ছুটেছে বনদপ্তরের কর্তাদের। হাতিদলটিকে জঙ্গলে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করতে তৎপর হয়েছে প্রশাসন। সে ক্ষেত্রে হুলা পার্টি ও কুনকি হাতির সাহায্য নেওয়া হতে পারে বলে বর্ধমান রেঞ্জের বনদপ্তর সূত্রের খবর।স্থানীয় সূত্রে খবর, গলসির লোকালয় সংলগ্ন ধানক্ষেতে ঢুকে পড়ে চল্লিশ বিয়াল্লিশ টির একটি হাতির দল। যদিও হাতির আসল সংখ্যা নিয়ে শুরুতে খানিক ধোঁয়াশা থাকলেও স্থানীয়দের দাবি সংখ্যাটা ৩৮ থেকে ৪০-র কম নয়। হাতির দল দেখতে স্থানীয় মানুষজন ভিড় জমান।
আরও পড়ুন- হাতির হানায় তটস্থ পূর্ব-বর্ধমান! আউশগ্রামে দাঁতালের হানায় আহত ১
বিঘার পর বিঘা জমির ধান হাতির দল মাড়িয়ে দেওয়ায় মাথায় হাত পরেছে গলসির চাষিদের। খবর পেয়ে ভোর থেকে হাজির গলসি থানায় পুলিশ। হাতির গতিবিধি উপর নজর রেখে চলেছেন বনদপ্তরের কর্মীরা। স্থানীয় মানুষজন জানান, বৃহস্পতিবার ভোরে গলসির সিংপুরে ওই হাতির দলটিকে প্রথম দেখতে পান তারা। তাদের দাবী এলাকার বিঘার পর বিঘা পাকা ধান মাড়িয়ে দিয়ে তাদের লোকসানের মুখে ফেলে দিয়েছে হাতির দলটি। আর এখানেই বাড়ছে উদ্বেগ। ফসলের এই ভরা মরসুমে এই বিশাল ক্ষতির সুরাহা কোন পথে হবে তা ভেবেই কূলকিনারা পাচ্ছেন না কেউই।
আরও পড়ুন -১৬ নভেম্বর থেকেই খুলছে সব স্কুল, রাজ্যের সিদ্ধান্তই বহাল কলকাতা হাইকোর্টে
এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে স্থানীায় বাসিন্দা শেখ মরসিলিন জানান, রাতের দিকে দলটি বাঁকুড়া জঙ্গল থেকে দামোদর নদ পেড়িয়ে গলসির কাশীপুর, শিল্লা হয়ে শিড়রাই চলে আসে। তারপর ভোর নাগাদ পোতনা হয়ে সিংপুরের মাঠে চলে আসে। তারপর গলিগ্রাম বনসুজাপুর উচচগ্রাম কুতররুকী হয়ে খড়ি নদী পেরিয়ে আউস গ্রামের দিকে চলে যায় হাতির পালটি। বর্তমানে হাতির দলটি আউশগ্রামের সরগ্রামে রয়েছে বলে বনদপ্তর সূত্রে খবর। এদিকে দাঁতালদের তাণ্ডবে ফসল বড় ক্ষতি হওয়ায় ইতিমধ্যেই ক্ষতিপূরণের দাবি করেছে স্থানীয় বাসিন্দারা। প্রশাসনের হস্তক্ষেপেরও দাবি করা হয়েছে।