সরকারি হাসপাতাল থেকে নিখোঁজ, ১৮ দিন পর বৃদ্ধার হদিশ মিলল শিয়ালদহ স্টেশনে

  • বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন এক বৃদ্ধা
  • তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করেছিলেন পরিবারের লোকেরা
  • হাসপাতাল থেকে ওই বৃদ্ধা নিখোঁজ হয়ে যান বলে অভিযোগ
  • ১৮ দিন পর তাঁর খোঁজ মিলল শিয়ালদহ স্টেশনে

Tanumoy Ghoshal | Published : Dec 28, 2019 12:38 PM IST / Updated: Dec 28 2019, 06:09 PM IST

সরকারি হাসপাতাল থেকে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন। এক বৃদ্ধাকে হন্যে খুঁজছিলেন পরিবারের লোকেরা। অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল থানায়, মন্ত্রীর কাছেও গিয়েছিলেন বাড়ির লোকেরা। ১৮ দিন পর অবশেষে ওই বৃদ্ধার হদিশ মিলল শিয়ালদহ স্টেশনে। প্ল্যাটফর্মে তাঁকে দেখতে পেয়ে এলাকার কয়েকজন যুবক পরিবারের লোকেদের খবর দেন বলে জানা গিয়েছে। 

বয়স আশি বছর, বাড়ি উত্তর ২৪ পরগণার অশোকনগরে। বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন মায়ারানি দাস।  গত ৮ ডিসেম্বর তাঁকে ভর্তি করা হয় হাবরা স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। পরিবারের লোকেদের অভিযোগ, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নিখোঁজ হয়ে যান মায়ারানী। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে নিরাপত্তার গাফিলতির অভিযোগ দায়ের করেন ওই বৃদ্ধার ছেলে দেবদুলাল। বিভিন্ন স্টেশন গিয়ে খোঁজ করাই শুধু নয়, মায়ের খোঁজ পেতে এলাকায় পোস্টারও লাগিয়েছিলেন তিনি। বেশ কয়েকবার গিয়েছিলেন মন্ত্রী ও স্থানীয় বিধায়ক জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বাড়িতেও। কিন্তু মায়ারানী দাসের আর খোঁজ মেলেনি। উৎকণ্ঠায় কার্যত নাওয়া-খাওয়া বন্ধ হয়ে গিয়েছিল পরিবারের লোকেদের। 

আরও পড়ুন: লটারিতে কোটিপতি ছেলে, মালদহে চাষির বাড়িতে ভয়ে খাওয়া-ঘুম উধাও

শুক্রবার সন্ধ্যায় শিয়ালদহ থেকে ট্রেন ধরে বাড়ি ফেরার পথে প্ল্যাটফর্মে এক বৃদ্ধাকে দেখতে পান শুভায়ন দে ও সৌম্যজিৎ মুখোপাধ্যায় নামে দুই যুবক। প্রতিবেশী হওয়ার সুবাদে মায়ারানীকে ভালোই চিনতেন তাঁরা।  দেরি না করে দেবদুলালকে খবর পাঠান তাঁরা। শিয়ালদহ স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে যে বৃদ্ধা পড়েছিলেন, হোয়াটস অ্যাপ মারফৎ পাঠিয়ে দেওয়া হয় তাঁর ছবিও।  ছবি দেখে মা-কে চিনতে পারেন মায়ারানীর ছেলে। শিয়ালদহ স্টেশনে গিয়ে ওই বৃদ্ধাকে ফিরিয়ে আনেন পরিবারের লোকেরা।

গত কয়েক দিন ধরেই জাঁকিয়ে শীত পড়েছে। এরইমধ্যে স্টেশনে রাত কাটিয়ে শারীরিকভাবে রীতিমতো দুর্বল হয়ে পড়েছেন আশির বছরের বৃদ্ধা মায়ারানি দাস। বাড়ি ফেরার পর থেকেই ঘুমিয়ে চলেছেন তিনি। সেবা-যত্নে কোনও খামতি রাখছেন না পরিবারের লোকেরা।  

Share this article
click me!