বিজেপি শুধু জাতপাতের রাজনীতি করে- শ্লোগান দিয়ে পঞ্চায়েত দখল করল তৃণমূল

জাতপাত আর বিভেদের রাজনীতি করে বিজেপি। এমনই অভিযোগ তুলে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করলেন নির্বাচিত গ্রামপঞ্চায়েতের সদস্যরা।

Parna Sengupta | Published : Jul 28, 2021 10:24 AM IST

বিজেপিতে থেকে কোনও উন্নয়নমূলক কাজ করা যাচ্ছে না। শুধুই জাতপাত আর বিভেদের রাজনীতি করে বিজেপি। এমনই অভিযোগ তুলে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করলেন নির্বাচিত গ্রামপঞ্চায়েতের সদস্যরা। তাঁদের দাবি হিংসা আর উস্কানিমূলক রাজনীতির আঙিনা ছেড়ে উন্নয়নের স্বার্থে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করলেন তাঁরা। 

এই যোগদানের ফলে বিজেপির দখলে থাকা রায়গঞ্জ ব্লকের বরুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ক্ষমতায় এল তৃণমূল কংগ্রেস। দলত্যাগী বিজেপি ও বাম-কংগ্রেস পঞ্চায়েত সদস্যদের তৃণমূল কংগ্রেসে স্বাগত জানালেন উত্তর দিনাজপুর জেলা তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব।  সবুজ আবীরে রাঙিয়ে বরণ করে নেওয়া হল তাদের। এবার থেকে গ্রামে হবে উন্নয়ন, বিপদে আপদে সর্বদা গ্রামের মানুষের পাশে থেকে কাজ করার অঙ্গীকার নিলেন সদ্য বিজেপি ও সিপিএম- কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদানকারী পঞ্চায়েত সদস্য ও বাম-কংগ্রেস জোট সদস্যরা। 

২০১৮ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনে রায়গঞ্জ ব্লকের ১২ নম্বর বরুয়া গ্রামপঞ্চায়েতের দখল নিয়েছিল বিজেপি। মোট ২৭ সদস্যের পঞ্চায়েতে বিজেপি পেয়েছিল ১১ টি আসন, তৃণমূল কংগ্রেস ১২ টি এবং সিপিএম-কংগ্রেস জোট পেয়েছিল ৪ টি আসন। বিজেপির ১১ জন এবং বাম-কংগ্রেস জোটের ৪ জন সদস্য মিলে বরুয়া গ্রামপঞ্চায়েতের দখল নেয় বিজেপি। ২০২১-য়ের বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল সংখ্যা গরিষ্ঠতা নিয়ে রাজ্যের তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় আসে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূল কংগ্রেস। 

এরপর থেকেই একে একে বিজেপির দখলে থাকা একের পর এক গ্রামপঞ্চায়েত তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়তে থাকে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের উন্নয়ন কর্মযজ্ঞে শামিল হতে  বিজেপি ও বাম-কংগ্রেস সদস্যরা দলে দলে তৃণমূল কংগ্রেসে নাম লেখাতে শুরু করে। এদিন রায়গঞ্জ ব্লকের বিজেপি পরিচালিত ১২ নং বরুয়া গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনে তৃণমূল কংগ্রেস।  বিজেপির  ৩ জন এবং জোটের ৪ জন পঞ্চায়েত সদস্য তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষে ভোট দিয়ে বিজেপি বোর্ডের বিরুদ্ধে অনাস্থা পাশ করিয়ে নেয়। 

এর ফলে বর্তমানে ১২ নং বরুয়া গ্রামপঞ্চায়েতের ২৭ জন সদস্যের মধ্যে তৃনমূল কংগ্রেসের দাঁড়ালো ১৯ জন, এবং বিজেপির ৮ জন। অনায়াসেই বরুয়া গ্রামপঞ্চায়েতের বোর্ড দখল করল তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূলে যোগদানকারী  দলত্যাগী বিজেপি ও বাম-কংগ্রেস সদস্যরা জানিয়েছেন, বিজেপিতে হিংসা আর উস্কানিমূলক রাজনীতি এবং  চরম গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব।  ফলে বিজেপির দখলে থাকা বরুয়া গ্রামপঞ্চায়েতের সাধারণ মানুষের কোনও উন্নয়নমূলক কাজই হচ্ছিলনা। অনাস্থা এনে  গ্রামের সাধারন উন্নয়ন ও পরিষেবা দেওয়ার লক্ষ্যে তৃনমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন তাঁরা। 

রায়গঞ্জ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি মানস ঘোষ জানিয়েছেন, বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যে তৃণমূল পুনরায় ক্ষমতায় আসার পর দলে দলে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করছেন। গ্রামের মানুষের সার্বিক উন্নয়নের স্বার্থে বিজেপি ছেড়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের উন্নয়নে সামিল হতেই পঞ্চায়েতের বোর্ড পরিবর্তন করলেন বরুয়া গ্রামপঞ্চায়েতের সদস্যরা।

Share this article
click me!