উত্তরপ্রদেশে তাদের শায়েস্তা করতে তৈরি হয়েছে আলাদা বাহিনী। সড়কছাপ রোমিওদের অত্যাচার থেকে মেয়েদের বাঁচাতে 'দে ধনা ধন' রাস্তা নিয়েছে যোগী আদিত্য়নাথের সরকার। এবার রাজ্যেও কি সেই দাওয়াই প্রয়োজন?
ঘড়ির কাটায় দশটা পার হতেই মেয়েদের স্কুলের সামনে ভিড় জমতে শুরু করে নাবালক রোমিওদের। একই সঙ্গে কো-এড স্কুলেও ভিড় জমে এই রোমিওদের। পরে স্কুল শুরু হতেই শুরু হয় ইভিটিজং। স্কুল চলাকালীন যার জেরে পঠনপাঠন প্রায় ডকে ওঠার জোগার হয়। এমনই অভিযোগ আকছার উঠে আসে শিলিগুড়ির হায়দরপাড়ার স্কুলগুলির তরফে। একাধিকবার স্কুল কর্তৃপক্ষ দৃঢ় পদক্ষেপ নিলেও কাজ হয়নি কিছুই। সমস্যা সেই তিমিরেই থেকে গিয়েছে। উলটে রোমিওদের দাপট ক্রমেই উর্ধমুখী। ঘটনায় তটস্থ স্কুল কর্তৃপক্ষ।
বুধবার এমনই এক রোমিও ধড়া পড়ল পুলিশের জালে। জানা গিয়েছে, এদিন দুপুরে ওই রোমিও শিলিগুড়ির হায়দরপাড়ার বুদ্ধভারতী হাইস্কুলের পেছনে ঘাঁটি গেড়েছিল। লাগাতার ছাত্রীদের ইভটিজিং করে চলছিল ওই রোমিও। একসময় অতীষ্ট হয়ে ছাত্রীরা প্রধান শিক্ষকের কাছে নালিশ জানায়। প্রধান শিক্ষকের নির্দেশে ওই রোমিওকে পাকড়াও করে স্কুলের অন্যান্য ছাত্ররা। পরে তাকে ভক্তিনগর থানার হাতে তুলে দেওয়া হয়।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক স্বপনেন্দু নন্দী বলেন, আমাদের কাছে ওই ছেলেটির বিষয়ে বেশ কয়েকদিন ধরেই স্কুলের ছাত্রীরা অভিযোগ করেছে। ছাত্রীরা জানিয়েছে, ওই যুবক দিনকয়েক ধরে স্কুলের পিছনে দাঁড়িয়ে থাকে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে গতকাল ওই যুবককে ধরতে গিয়েছিলাম। তার বাইকের চাবি ছিনিয়ে নিয়েছিলাম। যদিও চাবি ছাড়াই বাইক স্টার্ট দিয়ে সেদিন পালিয়ে যায় সে। আজ আবার স্কুলের কাছে এসে ঘাঁটি গাড়ে । এদিনও একইভাবে ছাত্রীদের ইভটিজিং করছিল। স্কুলের অভিযোগ, এলাকায় এমন কিছু যুবক প্রায়শই স্কুলের সামনে পৌঁছে পরিবেশ খারাপ করার চেষ্টা করছে। সেক্ষেত্রে আমরা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। পুলিশ পেট্রোলিং-এর আবেদন জানানো হয়েছে থানাকে। পুলিশের জানিয়েছে, প্রয়োজনে রোমিও ধরতে টহল দেবে তাঁদের ভ্য়ান।