সাত দিনের হেফাজত শেষে এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে আবারও নিজেদের হেফাজতে সিবিআই। সোমবার সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে পেশ করা হয়েছে আলিপুর আদালতে। বর্তমানে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালেয়র উপাচার্য ছাড়াও একগুচ্ছ দায়িত্ব রয়েছে তাঁর ওপর।
সাত দিনের হেফাজত শেষে এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে আবারও নিজেদের হেফাজতে সিবিআই। সোমবার সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে পেশ করা হয়েছে আলিপুর আদালতে। বর্তমানে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালেয়র উপাচার্য ছাড়াও একগুচ্ছ দায়িত্ব রয়েছে তাঁর ওপর।
এক সপ্তাহ আগেই তাঁর বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে অভিযুক্ত তিনি। ভুয়ো নিয়োগপত্র দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। ২০১৪-২০১৮ সাল পর্যন্ত তিনি ছিলেন এসএসসির চেয়ারম্যান। ৩৮১টি ভুয়ো নিয়োগপত্র দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। নিজামপ্যালেসেই তাঁকে একসপ্তাহ ধরে জেরা করেছে সিবিআই। সোমবার হেফাজতের মেয়াদ শেষ হওয়া পেশ করা হয় আদালতে। তদন্তের স্বার্থে সুবীরেশকে আবারও নিজেদের হেফাজত নিতে চেয়েছে সিবিআই।
অন্যদিকে এদিন সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে আদালতে নিয়ে আসতে দেরী করে সিবিআই। আর সেই কারণেই বিচারপতির প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় তদন্তকারী আধিকারিকদের। আদালতের নির্ধারিত সময়ের অনেকটা পরেই সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে পেশ করা হয়। দেরির কারণ জানতে চেয়ে আদালত রীতিমত ভর্ৎসনা করে সিবিআই কর্তাদের। আদালত বলে, 'নিজাম প্যালেস থেকে আলিপুর যদি হেঁটে আসতেও এত সময় লাগে না। তাহলে দেরি হল কেন?' যদিও এই প্রশ্নের উপযুক্ত জবাব দিতে পারেনি সিবিআই।
অন্যদিকে এদিন আদালত জানতে চায় কেন সুবীরেশকে গ্রেফতার করা হয়েছে? এসএসসি দুর্নীতিকাণ্ডে সুবীরেশের ভূমিকা কি ছিল তাও জানতে চায় আদালত। উত্তরে সিবিআই জানিয়েছে, নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ড চাকরিপ্রার্থীদের প্রাপ্ত নম্বর নিয়ে কারচুপি করার প্রধান লোকই হল সুবীরেশ। বৃহত্তম ষড়যন্ত্রে যুক্ত থাকার পাশাপাশি এই দুর্নীতিকাণ্ডে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা তিনি গ্রহণ করেছেন ।
গত ২৪ অগাস্ট সুবীরেশের অনুপস্থিতিতে বাড়িতে দীর্ঘ সময় ধরে তল্লাশি চালিয়েছিল সিবিআই আধিকারিকরা। তারপরই ফ্ল্যাট সিল করে দিয়ে চলে যায়। খবর পেয়ে তিনি উত্তরবঙ্গ থেকে ফিরে আসেন। ফ্ল্যাটে ঢুকতে না পেরে ছাদেই সাংবাদিক বৈঠক করেন তিনি। সূত্রের খবর পার্থ চট্টোপাধ্যায় জেরায় জানিয়ে ছিলেন নিয়োগের বিষয় তিনি কিছুই জানতেন না। তিনি আর অধীনস্ত কর্মী ও আধিকারিকদের ওপরই এই বিষয়ে সম্পূর্ণ নির্ভর করেছিলেন। এদিন জেরায় সুবীরেশ নাকি একাধিক প্রশ্নের উত্তর দেননি। জেরায় অসঙ্গতি ধরা পড়েছে- তেমনই খবর সিবিআই সূত্রে। বর্তমানে পার্থ চট্টোপাধ্যায় সিবিআই হেফাজতে রয়েছে। তাই সুরীবেশকে তাঁর মুখোমুখি বসিয়ে নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করবে সিবিআই।