Murshidabad TMC : নিমতিতা বিস্ফোরণকাণ্ডের তদন্তে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে

বিস্ফোরণ কাণ্ডে তলব করা হয়েছে জাকির হোসেনের বিরোধী গোষ্ঠী বলে পরিচিত শাসকদলের আরেক বিধায়ক ইমানি বিশ্বাসকে। এতেই পুরো ঘটনা নতুন মাত্রা পেয়েছে বলেই বিশেষ সূত্র মারফত জানা গিয়েছে।

Parna Sengupta | Published : Jan 18, 2022 2:14 PM IST

বছর ঘুরতে চললেও আজও রহস্যে মোড়া রাজ্য তথা দেশব্যাপী সাড়া ফেলে দেওয়া মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) নিমতিতা স্টেশনে বিধ্বংসী বিস্ফোরণকাণ্ড (Nimatita blasts)। এর কিনারা করতে পারেনি রাজ্য পুলিশ (State Police) থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা NIA( NIA investigation)। সেই বিস্ফোরণকাণ্ডে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের বর্তমান বিধায়ক তথা প্রাক্তন মন্ত্রী জাকির হোসেন এবং তার অনুগামী সহ ২৭ জন গুরুতর জখম হন। এমনকি ওই বিস্ফোরণকাণ্ডে জন্মের মত আঙ্গুল খোয়াতে হয়েছে মন্ত্রীকে। শরীরের অন্যান্য অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হয় যথেষ্ট। বিকলাঙ্গ হয়ে গেছেন ঘটনায় জখম অন্যান্যরা। 

ইতিমধ্যে ওই ভয়াবহ বিস্ফোরণ কাণ্ডে তলব করা হয়েছে জাকির হোসেনের বিরোধী গোষ্ঠী বলে পরিচিত শাসকদলের আরেক বিধায়ক ইমানি বিশ্বাসকে। এতেই পুরো ঘটনা নতুন মাত্রা পেয়েছে বলেই বিশেষ সূত্র মারফত জানা গিয়েছে। এদিকে এই পরিস্থিতিতে বছর পেরিয়ে যাওয়ায় চুপ করে বসে থাকতে রাজি নন তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা জাকির হোসেন। তাই ঘোরাপথে রাজ্য সরকারের ওপর চাপ বাড়াতে তার অনুগামীরা নিমতিতা বিস্ফোরণকাণ্ডে বিকলাঙ্গদের নিয়ে সত্য সন্ধানের দাবিতে অবস্থান-বিক্ষোভ নেমেছে। এতেই রীতিমতো রাজনৈতিক মহলে নতুন ভাবে শোরগোল শুরু হয়েছে।

আগামী দিনে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠতে চলেছে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। ইতিমধ্যেই এই পুরো রহস্যজনক কাণ্ডে দোষীদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে জখম ২৭জন ও তাদের পরিবারের সদস্যরা প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছে এলাকায়। ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াচ্ছে ক্রমশ। বিক্ষোভকারীরা রেল কর্তৃপক্ষের কাছে তাদের নিজেদের কাজের পাশাপাশি ক্ষতিপূরণ ও প্রকৃত দোষীদের শাস্তির দাবিও জানাচ্ছে প্রতিনিয়ত। রেল সূত্রে জানা যায়, রেল পুলিস তাঁদের দাবি ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষকে জানানোর আশ্বাস দিচ্ছে প্রতিমুহূর্তে। 

প্রসঙ্গত, গতবছর ফেব্রুয়ারি মাসে কলকাতার উদ্দেশে যাওয়ার পথে ট্রেন ধরার আগে ওই স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে তৎকালীন মন্ত্রী জাকির হোসেনের উপর হামলা হয়। হামলায় জাকির সাহেব সহ তাঁর ২৭জন অনুগামী গুরুতর জখম হন। বোমার আঘাতে অধিকাংশের হাত ও পা উড়ে গিয়েছে। ফলে অসহায় অবস্থার মধেয দিন কাটাচ্ছেন। রাজ্য সরকার ও জাকির সাহেব জখমদের আর্থিক সাহায্য দিয়েছেন। কিন্তু এত কিছুর পরেও কোন অজানা কারণে রাজ্যের হেভিওয়েট নেতা বিধায়ক তথা প্রাক্তন মন্ত্রী ও এক এক করে ২৭ জনের উপর বিস্ফোরণের মাধ্যমে হামলার পরেও মূল 'মাস্টারমাইন্ডরা' গ্রেফতার হচ্ছে না সে নিয়েই প্রশ্ন তুলছেন খোদ তৃণমূল বিধায়ক জাকির হোসেন। 

তিনি এ ব্যাপারে জানান,"আমি এখনও বুঝতে পারছি না কেন কেন্দ্রীয় সংস্থা তদন্তের মধ্যে দিয়ে এত বড় একটা বিস্ফোরণকাণ্ডে কিনারা করতে পারছেনা। তাহলে কি মাস্টারমাইন্ড রা আজীবন অধরায় থাকবে?"। 

যদিও এই ব্যাপারে তার দলেরই বিধায়ককে জিজ্ঞাসাবাদ করার বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি অবশ্য তা নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাননি। ফলতো সব মিলিয়ে মাস্টারমাইন্ড এর খোঁজে কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে কেউটে বেরিয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে তৃণমূলের অন্তরেই? সেই কোটি টাকার প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে সর্বত্র। 

Share this article
click me!