দেহ দাহ হলেই পড়ে যাবে অশৌচ পর্ব। নির্ধারিত শুভ কাজ করতে পারবে না পরিবার। সঙ্গে রয়েছে পাত্রীর লগ্নভ্রষ্টা হওয়ার বিষয়। বেগতিক দেখে বাবার দেহ দাহ না করেই বিয়ে সারার সিদ্ধান্ত নিল পরিবার। ঘটনাটি ঘটেছে, বসিরহাট মহকুমার বাদুড়িয়া থানার উত্তর দিয়ারা গ্রামে।
বাড়িতে আয়োজন শেষ। প্যান্ডেল থেকে বিয়ের সানাই ভুরি ভোজের আয়োজন সম্পন্ন। হঠাৎ মঙ্গলবার সকালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান পাত্র কৃষ্ণেন্দুর বাবা অসিত বরণ মন্ডল । বুধবার শিক্ষক পরিবারের তারই একমাত্র ছেলের বিয়ে । বিয়ে ঠিক হয়েছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনার গড়িয়া হাটের কালিকাপুর এলাকায় । বছর ২৮-এর মনিকা সাহার সঙ্গে। পরিবার সিদ্ধান্ত নেয়, মৃতদেহ সৎকার না করেই আগামীকাল নিয়ম তিথি উপচারের মধ্য দিয়ে যে বিয়ের কথা ছিল সেটা সম্পূর্ণ হবে।
বছর ২৮ এর কৃষ্ণেন্দু মন্ডল পেশায় ব্যাংকের জোনাল ম্যানেজার। গোটা মন্ডল পরিবার এলাকায় শিক্ষক পরিবারের হিসাবে পরিচিত। এই সিদ্ধান্তে পাত্রীর বাবা জয়ন্ত কুমার সাহা ও কন্যা মনিকা সাহার পরিবারও খুশি। মৃত অসিতবরণ মণ্ডলের স্ত্রী রেখা মন্ডলও এই সিদ্ধান্তকে মেনে নিয়েছেন। তিনি বলেছেন একজন নারী হয়ে আরেক নারীর সম্মান বাঁচানো আমার মূল লক্ষ্য । আমার স্বামীর শেষকৃত্য সম্পন্ন যদি দুইদিন পিছিয়ে যায়,তাতে আমার কোনও আপত্তি নেই। আরও এক জীবন বাঁচবে আমি খুশি।