চাষ করতে গেলে রুখতে হবে অনুপ্রবেশ, কৃষকদের থেকে মুচলেকা আদায় বিএসএফ-র

  • মুর্শিদাবাদে বাংলাদেশ লাগোয়া জমিতে বন্ধ ছিল চাষাবাদ
  • কৃষকদের চাষ করতে দিতে রাজি ছিলেন না বিএসএফ জওয়ানরা
  • সীমান্তরক্ষী বাহিনীর পদস্থ আধিকারিকদের মধ্যস্থতায় অচলাবস্থা কাটল
  • চোরাচালান ও অনুপ্রবেশ রুখতে সাহায্যে প্রতিশ্রুতি দিতে হল কৃষকদের

Tanumoy Ghoshal | Published : Nov 19, 2019 8:47 AM IST / Updated: Nov 19 2019, 02:19 PM IST

মুর্শিদাবাদে বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া জমিতে শেষপর্যন্ত চাষবাদের অনুমতি পেলেন স্থানীয় কৃষকরা। তবে সীমান্তে চোরাচালান ও অনুপ্রবেশ রুখতে তাঁদের কাছ থেকে পাল্টা সহযোগিতার প্রতিশ্রুতিও আদায় করে নিয়েছে বিএসএফ। এমনকী, সীমান্ত পেরিয়ে কেউ এপারে চলে এলেও, তাঁকে আশ্রয় দেওয়া যাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী।

বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া এ রাজ্যের প্রান্তিক জেলা মুর্শিদাবাদ।  শীতের মরশুমে পদ্মা জল কমলেই ভগবানগোলা, রানিতলা, জঙ্গিপুরের মতো এলাকায় সীমান্ত লাগোয়া জমিতে চাষের কাজে নেমে পড়েছেন স্থানীয় মানুষেরা।  কিন্তু এবার চাষ করা তো দূর, তাঁদের জমির আশেপাশেও যেতে দিচ্ছিলেন না কর্তব্যরত বিএসএফ জওয়ানরা।  সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, কোনও অবস্থাতেই বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া জমিতে চাষ করতে দেওয়া হবে না।  সীমান্তরক্ষী বাহিনীর জওয়ানদের কড়া অবস্থানে বিপাকে পড়েন কৃষকরা। সমস্যা সমাধানে স্থানীয় পঞ্চায়েত ও ব্লক প্রশাসনের দ্বারস্থ হন তাঁরা। কিন্তু এরসঙ্গে যেহেতু দেশের নিরাপত্তার বিষয়টি জড়িত, তাই স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষে চাষীদের সাহায্য করা সম্ভব হয়নি। অবশেষে বিএসএফ-এর পদস্থ আধিকারিকদের হস্তক্ষেপেই অচলাবস্থা কাটল।

জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদে বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় ক্যাম্প করে স্থানীয় কৃষকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন খোদ বিএসএফ-র এডিজি সঞ্জীব সিং। তিনি জানিয়েছেন, সীমান্ত লাগোয়া জমিতে চাষাবাদে কোনও বাধা নেই। বরং সমস্যায় পড়লে কৃষকদের পাশে দাঁড়াবেন জওয়ানরা।  কিন্তু বাংলাদেশ সীমান্তে চোরাচালান ও অনুপ্রবেশ রুখতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে হবে কৃষকদেরও।  তাঁদের প্রতিশ্রুতি দিতে হবে, যে সীমান্তে চোরাচালান কিংবা অনুপ্রবেশের ঘটনা নজরে এলেই বিএসএফ ক্যাম্পে খবর দেবেন এবং বাংলাদেশ থেকে আগত কোনও ব্যক্তিকে আশ্রয় দেবেন না।  বিএসএফ-র এই প্রস্তাব মেনে নিয়েছেন কৃষকরা। 

দিন কয়েক আগে মুর্শিদাবাদের জলঙ্গীতে পদ্মা নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে বাংলাদেশের জলসীমায় ঢুকে পড়েছিলেন কয়েজন মৎস্যজীবী।  তাঁদের আটক করে বিজিবি বা বর্ডার গার্ডস বাংলাদেশ। বিএসএফ-র দাবি, মৎস্যজীবীদের  উদ্ধার করতে যখন সীমান্ত পেরিয়ে সীমান্তের ওপারে যান জওয়ানরা, তখন তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি চালান বিজিবি-এর জওয়ানরা।  গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান এক বিএসএফ জওয়ান, গুরুতর আহত আরও একজন। ঘটনার শোরগোল পড়ে যায়। 

 

 

Share this article
click me!