পারিবারিক বিবাদের জেরে জামাইয়ের বাড়িতে চড়াও হয়ে প্রায় সাত রাউন্ড গুলি ছোড়ার অভিযোগ উঠল শ্বশুর এবং তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে। গুলিবিদ্ধ হল পরিবারের একজন। মারধরে জখম হয় আরও এক। শুক্রবার মালদহের বৈষ্ণবনগর থানার পারদেওয়ানপুর পঞ্চায়েতের মোড়লপাড়া এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। বৈষ্ণবনগর থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে গুলিবিদ্ধ ব্যক্তির নাম হোসেন শেখ। তিনি জামাইয়ের বাবা। তাঁর পেটে গুলি লাগে। বর্তমানে তিনি মালদহ মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসাধীন। এছাড়াও জখম হয়েছেন জামাইয়ের ভাই সাদেমান শেখ নামে একজন। তিনি স্থানীয় দরিয়াপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসা চলছে।
জানা গিয়েছে, গত প্রায় চার বছর আগে নেজানুর শেখের সঙ্গে বিয়ে হয় মির্জা বিবির। গত কয়েকদিন আগে মির্জার বাবা মতিউর মেয়ে জামাইকে খাট আলমারি- সহ বেশ কিছু আসবাবপত্র দেয়। কিন্তু খাট ও আলমারিতে ফুটো থাকায় স্ত্রীকে অভিযোগ জানায় নেজানুর নামে ওই যুবক। নেজানুরের স্ত্রী মির্জা বিষয়টি তাঁর বাবা বাড়ির লোকেদের জানায়। এই নিয়ে দুই পরিবারের বিবাদ শুরু হয়।
শুক্রবার সকালে মির্জার দিদি পারভিন এসে বোনকে জোর করে বাড়ি নিয়ে যান। তার কিছুক্ষণ পরে প্রায় দশ থেকে বারোজন নেজানুরের বাড়িতে চড়াও হয় বলে অভিযোগ। তারা নেজানুর- সহ বাড়ির লোকেদের মারধর করে। মারধরে জখম হয় নেজানূরের বাবা সাদেমান শেখ। তাঁদের বাঁচাতে ছুটে আসেন নেজানুরের ভাই হোসেন শেখ। সেই সময় দুষ্কৃতীরা গুলি ছোড়ে। প্রায় সাত রাউন্ড গুলি ছোড়ে। হোসেনের পেটে গুলি লাগে। খবর পেয়ে ছুটে আসে বৈষ্ণবনগর থানার পুলিশ। যদিও পুলিশ আসার আগেই পালায় অভিযুক্তরা।