জল, বিদ্যুতের সমস্যা হলেও সাহায্য করবে পুলিশ, বাংলাতেই অভিনব উদ্যোগ

  • প্রবীণ নাগরিকদের জন্য উদ্যোগ পুলিশের
  • নতুন অ্যাপ আনছে চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেট
  • প্রবীণ নাগরিকদের যে কোনও সমস্যায় এগিয়ে আসবেন পুলিশকর্মীরা

debamoy ghosh | Published : Oct 11, 2019 11:21 AM IST / Updated: Oct 11 2019, 05:10 PM IST

উত্তম দত্ত, হুগলি: বাড়িতে চুরি, ডাকাতি বা নিরাপত্তার অভাব বোধ করলেই নয়। এবার থেকে জল বা বিদ্যুতের সমস্যা হলেও  সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবে পুলিশ। শুনতে অবাক লাগলেও প্রবীণ নাগরিকদের সাহায্য করতে এমনই পরিকল্পনা করেছে চন্দননগর পুলিশ কমিশানারেট। পুলিশ কমিশনার হুমায়ুন কবীর এ দিন নিজেই সেকথা জানিয়েছেন। 

বিজয়া সম্মিলনী উপলক্ষে পুলিশ কর্মীরা ছাড়াও চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেট এলাকার প্রবীণ নাগরিকদের এ দিন মধ্যাহ্নভোজে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। সেখানেই পুলিশ কমিশনার জানান, নিঃসঙ্গ প্রবীণ নাগরকিদের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ গড়ে তুলতে সবরকমভাবে চেষ্টা করা হচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে একটি অ্যাপ আনার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে কমিশনারেটের তরফে। ওই অ্যাপেই এমন ব্যবস্থা থাকবে, যার সাহায্যে একটি বোতাম টিপলেই সরাসরি কন্ট্রোল রুম অথবা স্থানীয় থানায় ফোন চলে যাবে। সেখানেই নিজেদের যে কোনও সমস্যার কথা জানাতে পারবেন প্রবীণ নাগরিকরা। কমিশনার নিজেই জানান, বাড়িতে জল বা বিদ্যুৎ সরবরাহর মতো সমস্যার  কথা জানালেও প্রবীণদের সাহায্য করতে এগিয়ে আসবে পুলিশ। 

চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার জানান, কমিশনারেট এলাকার প্রবীণ নাগরিকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার জন্য 'স্পর্শ' নামে একটি প্রকল্প চালু রয়েছে। প্রতিটি থানায় নোডাল অফিসার রাখার কথাও ভাবা হয়েছে। যাঁরা পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছেন, বা যাঁদের সন্তানরা বাইরে থাকেন, তাঁরা যেন আমাদেরকে নিজেদের পরিবারের সদস্য মনে করতে পারেন। ভবিষ্যতে আরও বেশি সংখ্যক মানুষের সঙ্গে আমরা এর সঙ্গে যুক্ত করতে চাই। আমরা নিজেদের পরিবারের সদস্যদের যেভাবে দেখি, সেভাবেই প্রবীণ নাগরিকদের সঙ্গে ব্যবহার করব।'

কমিশনার জানিয়েছেন, শুধু পুজো বা কোনও উৎসবের সময় নয়, সারা বছরই তাঁরা প্রবীণ নাগরিকদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলতে চান। সপ্তাহে একবার অথবা মাসে অন্তত দুই থেকে তিনবার পুলিশের তরফ থেকেই প্রবীণ নাগরিকদের খোঁজ নিয়ে আসা হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ কমিশনার। 

বিজয়া সম্মিলনী উপলক্ষে এ দিন পুরোপুরি বাঙালি পদে প্রবীণ নাগরিকদের মধ্যাহ্নভোজের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। মেনুতে ছিল ভাত, ডাল, ফুলকপির রোস্ট, মুরগির মাংস, চাটনি, পাঁপড়, দই, মিষ্টি এবং পান। পুলিশ কমিশনার নিজে দাঁড়িয়ে থেকে অতিথি আপ্যায়ণ সারেন। 

Share this article
click me!