'তাহলে আসল খুনি কে? আমার ছেলে কে মারল?' বিমল গুরুং-এর সঙ্গে রাজ্যের শাসকদলের ঘনিষ্ঠতায় ক্ষোভে ফেটে পড়লেন সাব ইন্সপেক্টর অমিতাভ মালিকের বাবা সৌমেন মালিক। তাঁর সাফ কথা, 'পুলিশের মেরুদণ্ড নেই। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তা পূরণ করুন। প্রয়োজনে আর্থিক সাহায্য, এমনকী চাকরিও ফিরিয়ে দিতে রাজি আছেন।'
আরও পড়ুন: মেঘলা আকাশ, বৃষ্টি শুরু, সপ্তমীর সকাল থেকেই জারি নিম্নচাপের সতর্কতা
২০১৭ সালের জুন মাস। পৃথক গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে ফের নতুন করে অশান্তি শুরু হয়। অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে পাহাড়। গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার তৎকালীন নেতা বিমল গুরু-এর বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতা-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ। জারি হয় গ্রেফতারি পরোয়ানা। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে আত্মগোপন করেন গুরুং। কোথায় গেলেন তিনি? পাহাড়ে বিভিন্ন এলাকায় লাগাতার অভিযান নামে পুলিশ। সেবছর ১৩ অক্টোবর দার্জিলিং-এর রঙ্গিত নদী তীরবর্তী সিংলার জঙ্গলের সিরুবাড়ি এলাকা অভিযানে গিয়ে নিহত হন রাজ্য পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর অমিতাভ মালিক। অভিযোগ, গুরুং-এর অনুগত বাহিনীই পুলিশের উপর হামলা চালায় এবং তাদের ছোঁড়া গুলিতেই প্রাণ হারান অমিতাভ।
আরও পড়ুন: 'মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী' অধীর, একুশের বিধানসভা ভোটে ১৫০টি আসনে লড়তে পারে কংগ্রেস
সেই ঘটনার পর কেটে গিয়েছে তিন বছর। বিমল গুরুং-এর টিঁকিটিও ছুঁতে পারেনি সিআইডি ও রাজ্য পুলিশ। অবশেষে বুধবার বিমল গুরুং-এ দেখা গেল সল্টলেকে, গোর্খা ভবনের সামনে। সাংবাদিক সম্মেলন করে জানিয়ে দিলেন, ২০২১ সালে বিধানসভা ভোটে তৃণমূলের সঙ্গে জোট করে লড়াই করতে চান। তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী পদে দেখতে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। মোর্চা বহিষ্কৃত নেতার এনডিএ ছাড়ার সিদ্ধান্ত স্বাগত জানিয়েছেন তৃণমূল। আর এসব দেখে কার্যত ক্ষোভে ফুঁসছেন নিহত পুলিশকর্মী অমিতাভ মালিকের পরিবারের লোকেরা। এমনকী, রাজ্যপাল জগদীপ ধানখড় ও কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন অমিতাভের বাবা।