শত্রুঘ্ন সিনহায় এই জয়ে খুশি তাঁর পরিবারের সদস্যরা। স্ত্রী পুনম সিনহা জানিয়েছেন, স্বামীর এই জয়ে তিনি খুশি। আরও বেশি খুশি স্থানীয় বাসিন্দাদের দেখে।
অভিনেতা তথা রাজনীতিবিদ শত্রুঘ্ন সিনহা অবশেষে জয় পেলেন। আর তাঁর হাত ধরে এই প্রথম আসানসোল লোকসভা নিজেদের দখলে আনল তৃণমূল কংগ্রেস। এই নিয়ে তৃতীয় দফায় এই রাজ্যে ক্ষমতা দখল করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু এই প্রথম আসনসোল জয় করল তৃণমূল। শত্রুঘ্ন সিনহার জয়ে তৃণমূলের যেখন খরা কাটল তেমনই বিহারী বাবুরও লোকসভায় যাওয়া হল। ২০১৯ সালে বিজেপির টিকিন না পেয়ে গেরুয়া শিবির ত্যাগ করেছিলেন তিনি। কংগ্রেসের টিকিটে নির্বাচনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। কিন্তু জয় হাসিল করতে পারেননি। তারপর কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলের হাত ধরে অবশেষ লোকসভায় গেলেন তিনি।
যাইহোক শত্রুঘ্ন সিনহায় এই জয়ে খুশি তাঁর পরিবারের সদস্যরা। স্ত্রী পুনম সিনহা জানিয়েছেন, স্বামীর এই জয়ে তিনি খুশি। আরও বেশি খুশি স্থানীয় বাসিন্দাদের দেখে। তিনি আরও বলেছেন তাঁর মনে হচ্ছে তাঁরা যেন আসানসোলেরই বাসিন্দা। 'আসানসোলের মানুষ হাত আর মন খুলে আমাদের স্বাগত জানিয়েছেন। আর এই জন্য আমরা খুশি হয়েছে। মনে হচ্ছে আমরা আসানসোলেরই বাসিন্দা।' পুনম বলেন এই জাতীয় আন্তরিকতা শুধুমাত্র ভারতেই দেখা যায়। এই দেশের মানুষ একে অপরকে ভালোবাসে। গ্রহণ করে নিতে দ্বিধা করে না। তিনি আরও বলেন এজাতীয় ঐক্য শুধুমাত্র ভারতেই দেখা যায়।
শত্রুঘ্ন সিনহা তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপির অগ্নিমিত্রা পলকে ৩,০৩,২০৯ ভোটে হারিয়েছেন। বিহারীবাবু ভোট পেয়েছেন, ৬,৫৬,৩৫৮টি ভোট। আর অগ্নিমিত্রা পল পেয়েছেন ৩.৫৩,১৪৯টি ভোট। আসানসোলে তৃতীয় স্থানে রয়েছে সিপিএম প্রার্থী পার্থ মুখোপাধ্যায়। তিনি ৯০ হাজারের কিছু বেশি ভোট পেয়েছেন। জয়ের পর তৃণমূল নেতা বলেছেন এই জয়ের জন্য আসানসোলের মানুষের কাছে কৃতজ্ঞ দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতাও জয়ের জন্য আসানসোলের মানুষকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। অন্যদিকে অগ্নিমিত্রা পল বলেছেন তিনি আসানসোলবাসীর রায় মাথা পেতে গ্রহণ করেছেন। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীরে কাছে হারের জন্য দুঃখপ্রকাশ করেছেন। একই সঙ্গে তিনি বলেছেন ২০২৪ সালের নির্বাচনের জন্য তিনি ও তাঁর দল তৈরি হচ্ছেন।