দলের তারকা সাংসদ মিমি চক্রবর্তীর বিরুদ্ধেই ক্ষোভ প্রকাশ করলেন মেয়র ও পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। যাদবপুরের সাংসদকে কটাক্ষ করে মেয়রের পরামর্শ, শুধু চিঠি না লিখে সাংসদ তহবিল থেকে অর্থও বরাদ্দ করুন।
অভিনেত্রী সাংসদের উপরে মেয়রের ক্ষুব্ধ হওয়ার নেপথ্যে একটি চিঠি। কয়েকদিন আগেই মেয়র ও পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে ই এম বাইপাসের বেহাল অবস্থা নিয়ে একটি চিঠি লিখেছিলেন যাদবপুরের সাংসদ মিমি চক্রবর্তী। সেখানে তিনি অভিযোগ করেন,কামালগাজি সেতু থেকে বারুইপুর পর্যন্ত ই এম বাইপাসের অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। বেহাল রাস্তার কারণে প্রায় প্রতিদিনই ওই রাস্তায় দুর্ঘটনা ঘটছে বলেও অভিযোগ করেন সাংসদ। অবিলম্বে ওই রাস্তা সারানোর জন্য পুরমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেন মিমি চক্রবর্তী।
প্রসঙ্গত ই এম বাইপাসের যে অংশের মেরামতির কথা মিমি বলেছিলেন, সেটি তাঁর সাংসদ এলাকা যাদবপুরের মধ্যেই পড়ে। এ নিয়ে এলাকার বহু বাসিন্দার থেকে তিনি অভিযোগ পেয়েছেন বলে চিঠিতে জানান অভিনেত্রী সাংসদ। তিনি নিজেও ওই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করায় রাস্তার হাল কতটা খারাপ তা বুঝতে পেরেছেন বলেও জানান মিমি।
এ দিন কলকাতায় মিমির চিঠি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে রেগে যান মেয়র ফিরহাদ হাকিম। মিমির উদ্দেশে তিনি বলেন, 'সাংসেদর চিঠিতে কিছু হয়না। একটা চিঠি দিয়েই সাংসদ তাঁর দায়িত্ব এড়াতে পারেন না। কী অবস্থায় আছে না আছে, তা জানতে হবে। যাদবপুরের সাংসদকে বলব রাস্তা সারাইয়ের জন্য সাংসদ তহবিলের টাকা দিতে হবে, শুধু চিঠি দিয়ে হবে না। আর এই রাস্তা সারাইয়ের জন্য যাদবপুরের সাংসদের অনেক আগেই শ্রদ্ধেয় বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় উদ্যোগী হয়েছিলেন। এর ডিপিআর তৈরি করে অর্থ দফতরে পাঠানো হয়েছে। অর্থ মঞ্জুর হলেই কাজ শুরু হয়ে যাবে।' প্রসঙ্গত মিমি চক্রবর্তী যে এলাকার সাংসদ, তার অন্তর্গত বারুইপুর পশ্চিম কেন্দ্রের বিধায়ক বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। যেভাবে এ দিন ফিরহাদ প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন, তাতে অভিনেত্রী সাংসদের চিঠি পাঠানোকে যে তিনি বা দল ভাল ভাবে নেয়নি, তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। ফলে রাস্তা সারাইয়ের সওয়াল করতে গিয়ে বেশ কিছুটা চাপেই পড়ে গেলেন মিমি।