রাজ্যের তো বটেই, দেশের অন্যতম সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। কিন্তু হস্টেলের খাবার মুখে দেওয়া যায় না! তেমনই অভিযোগ খড়গপুর আইআইটি-এর পড়ুয়াদের। হস্টেলে যাঁরা থাকেন, তাঁদের বক্তব্য, খাবারের মান নিয়ে যত কম কথা বলা যায়, ততই ভালো। এমনকী, রান্না করা খাবারেও নাকি পোকা থাকে! সোশ্যাল মিডিয়ায় পোকা-সহ খাবারের ছবি পোষ্ট করেছেন পড়ুয়ারা। শোরগোল পড়ে গিয়েছে খড়গপুরে আইআইটি ক্যাম্পাসে।
খড়গপুরে আইআইটি ক্যাম্পাসে হস্টেল ২১টি। ৮টি হস্টেল পরিচালনা করে আইআইটি কর্তৃপক্ষ। বাকি ১৩টি হস্টেল পরিচালনার দায়িত্ব বেসরকারি ঠিকাদার সংস্থার। হস্টেলে থেকে পড়াশোনা করেন ১৬ হাজার পড়ুয়া। সবকটি হস্টেলেরই খাবার নিম্মমান নিয়ে সোচ্চার আবাসিকরা। পড়ুয়াদের অভিযোগ, হস্টেলে তাঁদের যে খাবার দেওয়া হয়, তা খাওয়া যায় না। বেশিরভাগ দিনই আবার খাবারের সঙ্গে মিশে থাকে মৃত পোকা-মাকড়ও! নিয়মিত বাসনপত্র ধোয়া হয় না, খাবার জলও অপরিষ্কার। প্রতিটি হস্টেলে খাবার জল পরিশ্রুত করার মেশিন বসানো হয়েছে। কিন্তু সেই মেশিনগুলি কি আদৌও দেখভাল করা হয়? প্রশ্ন তুলেছেন আইআইটি খড়গপুরের পড়ুয়ারা। ক্যাম্পাসের ভিতরে ক্যান্টিন ও রেস্তোরাঁ-ও চলে। পড়ুয়াদের দাবি, সেই ক্যান্টিন ও রেস্তোরাঁর পরিবেশ অত্যন্ত নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর। ভেজ বিরিয়ানিতে মুরগি মাংসের টুকরো পাওয়া গিয়েছে, এমন ঘটনাও ঘটেছে।
খড়গপুরে আইআইটি-এর পড়ুয়ারা আওয়াজ নামে একটি ওয়েবপেজ চালান। ওই ওয়েবপেজে আইআইটি সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় ও তথ্য নিয়মিত পোস্ট করা হয়। গত মঙ্গলবার নিজেদের ওয়েবপেজে খড়গপুর আইআইটি হস্টেলের খাবার নিম্মমান নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন পড়ুয়ারা। পোস্ট করা হয়েছে বেশ কয়েকটি ছবিও। ছবিতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে, পাউরুটির গায়ে, চাউমিন ভিতরে, এমনকী ডালেও ভাসছে পোকা! রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে। উল্লেখ্য, কয়েক মাসে আগে হস্টেলের খাবারে টিকটিক পাওয়া গিয়েছিল। ঘটনার প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে ওঠেছিল খড়গপুর আইআইটি ক্যাম্পাস। শাস্তির মুখে পড়েছিলেন হস্টেলের কর্মীরা। কিন্তু পরিস্থিতি বদলায়নি বলে দাবি করেছেন পড়ুয়ারা।