ধসের কবলে অন্ডালের আরও একটি গ্রাম - ৪০টি বাড়িতে ফাটল, আতঙ্কে ভিটে-ছাড়া বাসিন্দারা

ধসের কবলে অণ্ডালের আরও এক গ্রাম

৪০টি বসতবাড়িতে ফাটল ধরেছে

গ্রাম ছাড়ছেন বাসিন্দারা

অভিযোগের নিশানায় ইসিএল

Asianet News Bangla | Published : May 14, 2021 11:53 AM IST / Updated: May 14 2021, 05:28 PM IST

ফের ধসের কবলে অণ্ডাল থানার আরও একটি গ্রাম। জানা গিয়েছে গত কয়েকদিনে মাটি ধসে গিয়ে পড়াসকোল গ্রামের অন্তত ৪০টি বসতবাড়িতে ফাটল ধরেছে। এই অবস্থায় আতঙ্কে একের পর এক পরিবার গ্রাম ছাড়তে শুরু করেছেন। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, রাষ্ট্রায়ত্ব সংস্থা ইস্টার্ন কোলফিল্ডস লিমিটেড বা ইসিএল (ECL) কর্তৃপক্ষ সঠিক পদ্ধতি কয়লা উত্তোলন না করাতেই ক্রমশ মাটি ধসে বসে যাচ্ছে এই গ্রাম। শুক্রবার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের কমিশনার অজয় ঠাকুর। সঙ্গে ছিলেন অণ্ডালের বিডিও-ও। জানা গিয়েছে গ্রামটিকে কীভাবে রক্ষা করা যায়, সেই বিষয়ে ইসিএল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রশাসনিক কর্তারা।

অন্ডাল থানা এলাকায় এর আগে বেশ কয়েকটি গ্রাম এর আগে একইভাবে ধসের কবলে পড়েছে। বস্তুত শুধু অন্ডাল নয়, আসানসোলের কয়লাখনি অধ্যুষিত বিস্তীর্ণ এলাকায়, এই ধস ও খোলামুখ খাদানে আগুন লাগা শতাব্দী-প্রাচীন সমস্যা। ১৮৫৫ সালে প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুরের উদ্যোগে প্রথম দামোদর নদের পাশে খনন শুরু হয়েছিল। পরের প্রায় ১০০ বছর বেসরকারি উদ্যোগে ব্যাপক হারে এবং বিজ্ঞান না মেনে কয়লা উত্তোলনের কাজ চলে। ১৯৭৩ সালে স্বাধীন ভারতে কয়লাখনি জাতীয়করণের পরে, ১৯৭৫ সাল থেকে এই অঞ্চলের কয়লা তোলার দায়িত্ব নিয়েছিল ইসিএল। কিন্তু তাতেও অবস্থার পরিবর্তন হয়নি।

পড়াসকোল গ্রাম পরিদর্শনে প্রশাসনের দল

গ্রামের সর্বত্র দেখা যাচ্ছে ফাটল

সাধারণভাবে, খনি থেকে কয়লা তোলার পর, ফাঁকা অংশ বালি দিয়ে ভরাট করে দেওয়ার কথা। বেসরকারী খননের সময় অনেক সময়ই এই বিধি মানা  হয়নি। ইসিএল-এর আমলেও অনেকসময় এই কাজ সুষ্ঠুভাবে করা হয় না বলে অভিযোগ। খনি থেকে ইসিএল প্রচুর পরিমাণে কয়লা তোলার পরেও, সেইসব খনিতে কিছু পরিমাণ কয়লা থেকে যায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, সেই কয়লা তোলার কাজে নামে কয়লা মাফিয়ার দল। ইসিএল-এর কিছু আধিকারিক, স্থানীয় প্রশাসনের কিছু আধিকারিক এবং কিছু রাজনৈতিক নেতার মদতেই অবৈধ ভাবে সেই কয়লা পাচার করা হয় দিনের পর দিন। এই বেআইনি খোড়াখুড়ি এবং খনি ঠিক মতো ভরাট না করার কারণেই এই এলাকার একের পর এক গ্রামে ধস নামছে।

 

Share this article
click me!