করোনায় আক্রান্ত বিদায়ী মেয়র অশোক ভট্টাচার্য, বন্ধ হয়ে গেল শিলিগুড়ি পুরনিগম

  • দ্বিতীয় সোয়ার টেস্টে রিপোর্ট পজিটিভ
  • করোনা আক্রান্ত প্রাক্তন মন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্য
  • বর্তমানে তিনি শিলিগুড়ি পুরনিগমের প্রশাসক
  • তিনদিন বন্ধ থাকবে পুরনিগমের অফিস
     

Asianet News Bangla | Published : Jun 18, 2020 8:13 AM IST

মিঠু সাহা, শিলিগুড়ি: আশঙ্কা ছিলই, এবার করোনা সংক্রমণের শিকার হলেন খোদ শিলিগুড়ি পুরনিগমের প্রশাসক বোর্ডের প্রধান ও রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্য। দ্বিতীয়বার সোয়াব বা লালারস পরীক্ষায় পজিটিভি রিপোর্ট এসেছে তাঁর। আপাতত তিনদিন বন্ধ থাকবে পুরনিগমের অফিস। পুরনিগম ও লাগোয়া এলাকা স্যানিটাইজড করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। যাঁরা অশোক ভট্টাচার্যের সংস্পর্শে এসেছেন, তাঁদের নামের তালিকা তৈরি কাজ চলছে।

আরও পড়ুন: আরব মুলুকে করোনায় মৃত্যু যুবকের, ভিডিও কনফারেন্সে শেষকৃত্যের সাক্ষী পরিবার

বাম জমানায় উত্তরবঙ্গে তৎকালীন শাসকদলের মুখ ছিলেন তিনি। দীর্ঘদিন পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তরের দায়িত্ব সামলেছেন অশোক ভট্টাচার্য। পালাবদলের পর আবার বিরোধীদের সঙ্গে জোট বেঁধে তাঁর নেতৃত্বে পুরভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বামেরা। বিপুল ভোটে জিতে শিলিগুড়ির মেয়র হন অশোকবাবু। পুরবোর্ডের মেয়াদ শেষ, কিন্তু করোনা আতঙ্কে নির্বাচন স্থগিত হয়ে গিয়েছে। দিন কয়েক আগে বাম জমানার মন্ত্রীকেই প্রশাসকের দায়িত্ব দিয়েছে সরকার। কিন্তু ঘটনা হল, অশোক ভট্টাচার্য নিজেই এবার করোনায় আক্রান্ত হলেন।

জানা দিয়েছে, গত বেশ কয়েক দিন ধরেই জ্বরে ভুগছিলেন অশোক ভট্টাচার্য। করোনা নয় তো? প্রথমবার সোয়াব বা লালারস পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। চিকিৎসার সেরেও উঠেছিলেন তিনি। দলের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, খুব তাড়াতাড়ি ফের পুরনিগমের কাজে দেবেন অশোকবাবু। কিন্তু তেমনটা আর হল কই! মঙ্গলবার দুপুরে জ্বর, পেটে সংক্রমণ ও বুকে সামান্য ব্যাথার উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হন শিলিগুড়ির একটি নার্সিংহোমে। দ্বিতীয়বার যখন সোয়াব বা লালারস পরীক্ষা হয়, তখন করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে নিয়েছেন দার্জিলিং জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকর্তা প্রলয় আচার্য। 

আরও পড়ুন: অমানবিক, করোনা আতঙ্কে বৃদ্ধকে 'রাস্তায় ফেলে' দিলেন স্বাস্থ্যকর্মীরা

উল্লেখ্য, আনলক পর্বে কিন্তু শিলিগুড়িতে করোনা সংক্রমণ ছড়াচ্ছে দ্রুতগতিতে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় এক সপ্তাহের জন্য শহরের সবচেয়ে বড় মাছের বাজার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। পরবর্তীতে স্বাস্থ্য বিধি মেনে পর্যায়ে ক্রমে বাজারটি খোলা হবে বলে জানিয়েছেন দার্জিলিংয়ের জেলাশাসক পুনমবালম এস।

Share this article
click me!