TMC Leader-Murder Case: তৃণমূল নেতা খুনে ধৃত ৪, চক্রান্তের হদিশ পেতে ম্যারাথন জেরা শুরু পুলিশের

মুর্শিদাবাদে দাপুটে তৃণমূল নেতা খুনে পুলিশের জালে ৪ দুষ্কৃতী।  মোবাইল টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করে প্রতিবেশী রাজ্য বিহারে পালিয়ে যাবার মুখে ৪ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ।

 

Web Desk - ANB | Published : Dec 12, 2021 11:58 AM IST

মুর্শিদাবাদে দাপুটে তৃণমূল নেতা খুনে পুলিশের জালে ৪ দুষ্কৃতী (Murshidabad TMC Leader Murder Case)। রীতিমতো চ্যালেঞ্জ জয়ে ঘুম উড়ে গিয়েছিল মুর্শিদাবাদ জেলা পুলিশের (Murshidabad Police)। অবশেষে মিলল বড় সাফল্য। ফিল্মি কায়দায় মুর্শিদাবাদের কান্দি শহরের দাপুটে তৃণমূল নেতা নেপাল সাহাকে কুপিয়ে ও পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে খুনের ঘটনায় মোবাইল টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করে প্রতিবেশী রাজ্য বিহারে পালিয়ে যাবার মুখে ৪ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ (Police)।

  রবিবার শেষ পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ৩০২, ধারা ১২০বি, ২৫, ২৭ আর্মস অ্যাক্টে মামলা দায়ের করে পুলিশি হেফাজত চেয়ে আদালতে তোলা হয়।  গ্রেফতার করতে সক্ষম হল। ওই দুষ্কৃতীরা মুর্শিদাবাদ বীরভূম সীমান্ত দিয়ে অন্যত্র পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল।তার আগেই তাদের ধাওয়া করে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়। এদিন প্রাথমিক জেলায় জানা যায়,অভিযুক্তরা বিহারে পালানোর ছক কষেছিল। তবে খুনের কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। বিশেষ সূত্র মারফত জানা যায়,ধৃত চার জন হল তারকনাথ সাহা, বিষ্ণু দোলুই, বরুণ ঘোষ এবং সপ্তম ঘোষ। তারকনাথ মৃত তৃণমূল নেতার খুড়তুতো ভাই। বিষ্ণু, বরুণ এবং সপ্তম-এই তিনজন নেপালের প্রতিবেশী। আরো জানা গিয়েছে,মুর্শিদাবাদ বীরভূম লাগোয়া  গ্রামে এক আত্মীয়র বাড়িতে গা ঢাকা দিয়ে থাকছিল তারা। মোবাইল ট্র্যাক করে তাদের হদিশ পায় মুর্শিদাবাদের পুলিশ। প্রথমের দিকে অভিযুক্তরা  তারাপীঠ এলাকায় জড়ো হয়, পরে সেখান থেকে  স্টেশন হয়ে বিহারে পালানোর ছক ছিল তাদের। সেই সময় ধাওয়া করে হাতেনাতে ধরা পড়ে যায় তারা।

উল্লেখ্য, নিজের রেশন দোকান বন্ধ করে বাইকে সওয়ার হয়ে বাড়ি ফিরছিলেন নেপাল সাহা। মাঝপথেই তাঁকে ঘেরাও করে দুষ্কৃতীরা। কিছু বোঝে ওঠার আগেই তাঁকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে গুলি করে হামলাকারীরা। সেই আঘাতে মাটিতে ছিটকে পড়লে নেপালবাবুর শরীরে আবারোও ধারাল অস্ত্রের কোপ বসায় দুষ্কৃতীরা। গুলির আওয়াজ শুনে স্থানীয়রা ছুটে এলে দুষ্কৃতীরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। গুরুতর জখম ও রক্তাক্ত নেপালবাবুকে সঙ্গে সঙ্গে কান্দি মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।  সেখানেই তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়। এদিকে ধৃত ঐ চারজনকে ম্যারাথন জেলা শুরু করে নানান তথ্য আদায় শুরু করেছে পুলিশ।যদিও এই ব্যাপারে এখনই খোলসা করে সংবাদমাধ্যমকে কিছু জানাতে চাই নি তদন্তের স্বার্থে পুলিশ আধিকারিকরা। মৃতার স্ত্রী যমুনা দাস বলেন,"আমি চাই বসিরহাট কঠোর থেকে কঠোর সাজা পাক এবং যারা এই চক্রান্তের পেছনে জড়িত রয়েছেন তারা সকলেই ধরা পড়ুক"।

Share this article
click me!