এটিএম থেকে একবারই পেনশনের টাকা তুলেছিলেন। দ্বিতীয়বার টাকা তুলতে গিয়েই চক্ষু চড়কগাছ! অ্যাকাউন্ট থেকে গায়েব ২০ হাজার টাকা। এবার বর্ধমানের এটিএম জালিয়াতির শিকার হলেন অবসরপ্রাপ্ত এক সরকারি কর্মচারী। প্রতারিতদের দাবি, সাহায্য় করার নাম করে কিংবা ব্যাঙ্ক কর্মী পরিচয় দিয়ে কেউ ফোন করেননি। এটিএম সংক্রান্ত তথ্য কাউকেই জানাননি। তাহলে অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা কীভাবে গায়েব হয়ে গেল? এটিএম কার্ডটি ক্নোন করা হয়েছে বলে অনুমান ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের। অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বর্ধমান পুলিশের সাইবার ক্রাইম বিভাগে।
বর্ধমান শহরের শাঁকারিপুকুর হাউজিং এস্টেটে থাকেন প্রণব কুমার চক্রবর্তী। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি করতেন তিনি। অবসরপ্রান্ত ওই সরকারি কর্মচারী জানিয়েছেন, গত ২৯ নভেম্বর তাঁর পেনশনের টাকা জমা পড়ে স্টেট ব্যাঙ্কের অ্য়াকাউন্টে। পরের দিন এটিএম থেকে পাঁচ হাজার টাকা তুলেছিলেন। প্রণব কুমার চক্রবর্তীর দাবি, সোমবার যখন দ্বিতীয় বার এটিএম থেকে টাকা তুলতে যান, তখন জানতে পারেন, দু'দফায় ২০ হাজার টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। অ্যাকাউন্টে আর টাকা নেই। এটিএম কাউন্টার থেকেই সোজা ব্যাঙ্কে চলে যান অবসপ্রাপ্ত ওই সরকারি কর্মচারী। এটিএমটি কার্ডটি পরীক্ষা করে দেখেন ব্যাঙ্কের আধিকারিকদের। তাঁদের বক্তব্য, কার্ডটি ক্লোন করে দিল্লি বসে প্রণব কুমার চক্রবর্তীর অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে জালিয়াতরা। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের পরামর্শে বর্ধমান জেলা পুলিশের সাইবার ক্রাইম বিভাগের অভিযোগও জানিয়েছেন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত ওই কর্মী।
উল্লেখ্য, এটিএম জালিয়াতির ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে কলকাতায়ও। যাদবপুরের বিভিন্ন এটিএম ব্যবহার করে তিরিশজনের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারক। দক্ষিণ চব্বিশ বারুইপুরে আবার আস্ত একটি এটিএম-ই তুলে নিয়ে গিয়েছে দুষ্কৃতীরা। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, কলকাতা এটিএম জালিয়াতির সঙ্গে বিদেশি কোনও চক্রের যোগ আছে। বাইকে চেপে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে এটিএম পরীক্ষা করে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলকাতা পুলিশ। নির্দিষ্ট সময় অন্তর পিন বদলে ফেলা ও টাকা তোলার ব্যাঙ্কিং অ্যাপ বা অনলাইন পরিষেবার ব্যবহার করা এটিএম কার্ডটিকে ডিঅ্যাক্টিভ করে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে গ্রাহকদের।