মঙ্গলবারই মিলেছিল ইঙ্গিত। খুলে দেওয়া হবে এবার রাজ্যের স্কুল। একে একে স্বাভাবিক হচ্ছে বিভিন্ন বিভাগ। যদিও এখনও পর্যন্ত স্কুলের দরজা খোলেনি বাংলায়। তবে নতুন বছর পড়তে ও ভ্যাকসিন আসতেই নড়েচড়ে বসল এবার রাজ্য সরকার। দীর্ঘ দিন ধরে তালা বন্ধ রাজ্যের স্কুলগুলি। করোনার জেরে মার্চ মাসে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল স্কুল। কয়েকটি বোর্ড পরীক্ষা নেওয়া সম্ভবপর হলেও দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষা সম্পূর্ণ নেওয়া সম্ভবপর হয়ে ওঠেনি। তারপর থেকে কেটে গিয়েছে দীর্ঘ ১১ মাস।
আরও পড়ুন- 'রথযাত্রা ঘিরে আইনশৃঙ্খলার অবনতি আশঙ্কা', বিজেপির 'পরিবর্তন যাত্রা'বাতিলের দাবিতে মামলা
এবার শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় মঙ্গলবারই সামনে এনেছিলেন বড় খবর। চলতি মাসেই খুলতে পাড়ে রাজ্যের বিভিন্ন স্কুল। ১২ ফেব্রুয়ারি রাজ্যের সব স্কুল খুলে দেওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেন তিনি। এই নিয়ে বুধবার উচ্চশিক্ষা পর্যদের সঙ্গে বৈঠকেও বসার কথা ছিল। বুধবার সেই বৈঠকেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় খুলে দেওয়া হোক স্কুল। তবে সব ক্লাস নয়, আপাতত খোলা হবে নবম থেকে দ্বাদশ পর্যন্ত। বোর্ড পরীক্ষার প্রস্তুতির দিকে তাকিয়েই এমন সিদ্ধান্ত। বাকি ক্লাসগুলি যেমন অনলাইনে নেওয়া হচ্ছে তেমনই নেওয়া হবে।
১২ সেপ্টেম্বর থেকে স্কুল খোলার কথা জানানো হয়েছিল কেন্দ্র থেকে। যদি কোনও রাজ্য চায় তবে স্কুল খুলে দিতে পারে। কিন্তু তখন পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে রাজ্য সায় দেয়নি এই সিদ্ধান্তে। যার ফলে বন্ধই ছিল স্কুল। অনলাইনেই চলছিল ক্লাস। তবে এবার ছাত্রছাত্রীদের করোনা বিধি মেনেই স্কুলে ফেরাতে তৎপর সরকার। তবে স্কুল খুললেও বন্ধই থাকছে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের দরজা। কবে থেকে তা খুলে দেওয়া হবে, তা নিয়ে এখনও কোনও চুরান্ত সিদ্ধান্ত নয় বলেই জানিয়ে তদেওয়া হয়েছে।