স্নানের উপর বিধিনিষেধ থাকলেও ভোর থেকেই গঙ্গাসাগর প্রাঙ্গণে স্নান করছেন পুণ্যার্থীরা। ১ ও ২ নম্বর ঘাটে সেভাবে লোক সমাগম না থাকলেও তিন, চার, পাঁচ নম্বর ঘাটে ভিড় করতে শুরু করেছেন ভক্তরা।
করোনা কাঁটা মাথায় নিয়েই এবারের গঙ্গাসাগর মেলায় শর্তসাপেক্ষে অনুমতি দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট(Kolkata High Court)। তৈরি হয়েছে বিশেষ পর্যবেক্ষক কমিটি। বসেছে সিসিটিভি। বেড়েছে পুলিশি নজরদারি। একই সঙ্গে বসানো হয়েছে টেস্টিং ক্যাম্প(Corona testing camp)। কিন্তু তারপরেও কমছে না উদ্বেগ। এদিকে খাতায় কলমে ১৪ জানুয়ারি থেকে ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে গঙ্গাসাগর মেলা (Gangasagar Mela) । কিন্তু মেলা শুরু আগে থেকেই গঙ্গাসাগারে কাতারে কাতারে ভিড় করতে শুরু করেছে ভক্ত দল। স্নানের উপর বিধিনিষেধ থাকলেও ভোর থেকেই গঙ্গাসাগর প্রাঙ্গণে স্নান করছেন পুণ্যার্থীরা। ধীরে ধীরে ভিড় বাড়তে শুরু করেছে গঙ্গাসাগরের মূল মেলা প্রাঙ্গণে(main fair premises of Gangasagar)। ১ ও ২ নম্বর ঘাটে সেভাবে লোক সমাগম না থাকলেও তিন, চার, পাঁচ নম্বর ঘাটে ভিড় করতে শুরু করেছেন পুণ্যার্থীরা। স্নানও করছেন অনেকেই। শিকেয় উঠেছে করোনা বিধি। আর তাতেই নতুন করে বেড়েছে উদ্বেগ।
এদিকে সমুদ্র সৈকতে পুলিশ প্রশাসনের নজরদারি থাকলেও স্নানে বাধা দিতে বিশেষ কাউকে দেখা যায়নি। এদিকে গঙ্গাসাগর মেলায় যেতে, করোনার ডবল ডোজের ভ্যাকসিনেশন (Double dose vaccination) সার্টিফিকেট অথবা আরটি-পিসিআর টেস্টের নেগেটিভ রিপোর্ট বাধ্যতামূলক করেছে সরকার। কিন্তু সেসব ছাড়াই অনেকে ভিড়ত করতে শুরু করেছেন মেলা প্রাঙ্গনে। গঙ্গাসাগর মেলায় যাওয়ার পথে কাকদ্বীপেও ধরা পড়ল করোনাবিধি লঙ্ঘনের ছবি। বেশিরভাগ মানুষের মুখে মাস্ক থাকলেও, দেখা যাচ্ছে না সামাজিক দূরত্ব বিধি মানতে। প্রশাসনের তরফে বারবার সতর্কতা মূলক প্রচারাভিযান চালানো হলেও মিলছে না ফল। বুধবার সকাল আটটা থেকে কাকদ্বীপের লট এইটে গঙ্গাসাগর যাওয়ার জন্য ফেরি সার্ভিস শুরু হয়। সেখানেও করোনাবিধি মানার জন্য প্রশাসনের তরফে লাগাতার মাইকে প্রচার করা হচ্ছে। কিন্তু তাতেও ফিরছে না আম-আদমির হুশ।
আরও পড়ুন-ঙ্গাসাগরে চওড়া হচ্ছে করোনার থাবা, আক্রান্ত মেলার দায়িত্বে থাকা ৫ চিকিৎসক
খাতায় কলমে শুক্রবার থেকে মেলা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও। সোমবার সন্ধেবেলায় মেলার আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন জেলাশাসক পি উলগানাথন। সাগর মেলার জন্য নামানো হয়েছে ২২৫০টি সরকারি বাস। পুন্যার্থী নিয়ে যাওয়ার জন্য রাস্তায় নেমেছে ৫০০টি বেসরকারি বাস। পাশাপাশি একুশটি জেটিকে মজুত রাখা হয়েছে দর্শনার্থীদের ভিড় সামাল দিতে। অন্যদিকে ৩২টি বড় ভেসেল এবং ১০০টি লঞ্চ যাত্রী পারাপারের কাজ করছে। এদিকে গঙ্গাসাগর মেলা গতবারের কুম্ভ মেলার মতোই যে করোনার সুপার স্প্রেডারে পরিণত হতে পারে সেই বিষয়ে বারেবারে সতর্ক করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে তারপরেও ভক্তদের হুশ ফেরে কিনা এখন সেটাই দেখার।