ছাত্রীকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ, শ্লীলতাহানি, প্রতিবাদে পুলিশ কর্তাকে গণপিটুনি ঘিরে চাঞল্য় ছড়াল বসিরহাট মহকুমার হাড়োয়া থানার মোহনপুর গ্রামে। অভিযোগ, হাড়োয়া থানার এএসআই কুপ্রস্তাব ও অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন ক্লাস ইলেভেনের মল্লিকঘেরি কুঁজিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা দুই ছাত্রী ১৭ বছরের সঞ্চিতা রায় এবং ১৬ বছরের পম্পা সর্দারকে। সূত্রের খবর, এরপরই উত্তেজিত জনতা অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারের উপর চড়াও হয়। গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন এলাকাবাসী।
আরও পড়ুন, রাজনৈতিক সংঘর্ষে উত্তাল কামারহাটি, একাধিক গাড়িতে আগুন,জখম পুলিশ
বসিরহাট মহকুমার হাড়োয়া থানার মোহনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মোহনপুর এমসিএইচ হাই স্কুলের ঘটনা। এলাকা সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার সন্ধ্যায় মোহনপুর এমসিএইচ হাইস্কুল প্রাঙ্গণে ছাত্র যুব উৎসব ২০১৯-২০ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেখানেই হাড়োয়া থানার গোপালপুর ক্যাম্পের পুলিশকর্তা ডিউটিরত অবস্থায় ছিলেন এএসআই জাহাঙ্গীর হোসেন গাজী। সন্ধ্যা ছটা নাগাদ স্কুলেরই ক্লাস ইলেভেনের মল্লিকঘেরি কুঁজিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা দুই ছাত্রী ১৭ বছরের সঞ্চিতা রায় ও ১৬ বছরের পম্পা সর্দার অভিযুক্ত এএসআই কুপ্রস্তাব ও অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে বলে অভিযোগ। ঘটনার কথা ছড়িয়ে পড়তেই অভিযুক্ত পুলিশ কর্তাকে ক্লাসরুমে আটকে বেধড়ক গণপিটুনি দেয় গ্রামবাসীরা। এলাকা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এবং উত্তেজিত জনতা পুলিশ গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় বলে জানা যায়।
আরও পড়ুন, কুমারগঞ্জ গণধর্ষণ- খুন কাণ্ডে তৎপর পুলিশ, এগারো দিনেই জমা পড়ল চার্জশিট
ঘটনাস্থলে হাড়োয়া ও মিনাখাঁ থানার বিশাল কামব্যাট ফোর্স ও পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা রয়েছে। ঘটনাস্থলে মিনাখাঁ এসডিপিও রয়েছেন। এই ঘটনা পূর্ব-পরিকল্পিত কিনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এমনকি ওই পুলিশ কর্তা কে চক্রান্ত করে ফাঁসানো হয়েছে কিনা সেটাও তদন্তে রাখছে পুলিশ। ছাত্রী ও পরিবারের তরফ থেকে থানায় এখনো কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি। ইতিমধ্য়েই পুলিশ কর্তা জাহাঙ্গীর আলমকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।