কুমারগঞ্জে তরুণীকে গণধর্ষণ এবং পুড়িয়ে হত্যার ঘটনার এগারো দিনের মাথায় চার্জশিট জমা দিয়ে দিল পুলিশ। নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডের তদন্ত দ্রুত শেষ করার চাপ ছিল পুলিশের উপরে। এ দিনই বালুরঘাট জেলা আদালতে পুলিশের তরফে চার্জশিট জমা দেওয়া হয়। চার্জশিটে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গণধর্ষণ, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র সহ একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় অভিযোগ এনেছে পুলিশ।
গত গত ৬ জানুয়ারি সকালে কুমারগঞ্জের সাফানগরে এক কিশোরীর অগ্নিদগ্ধ দেহ উদ্ধার হয়। ধর্ষণ করে কিশোরীকে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ ওঠে। পুলিশ তদন্তে নেমে একদিনের মধ্যেই তিন অভিযুক্তকে আটক করে। অভিযুক্তদের পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা ঘটনার দোষ স্বীকার করে নেয়। তদন্তে প্রমাণিত হয়, গণধর্ষণ করেই ওই কিশোরীকে হত্যা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন- চব্বিশ ঘণ্টা পার, খোঁজ নেই কুমারগঞ্জের নির্যাতিতার পরিবারের
আরও পড়ুন- লকেটের মশাল মিছিল ঘিরে ধুন্ধুমার সেন্ট্রাল, মিছিল বেরোতেই আটকাল পুলিশ
এই ঘটনাকে ঘিরে উত্তাল হয়ে ওঠে রাজ্য রাজনীতি। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয় বিরোধীরা। জেলাতে তো বটেই, কলকাতাতেও বিষয়টি নিয়ে আন্দোলনে নাম বিজেপি। এর মধ্যে সরকারি ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নাম করে নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যদের অজ্ঞাত জায়গায় তুলে নিয়েও যাওয়ার অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। ফলে এই কাণ্ডে যথেষ্টই চাপে ছিল পুলিশ। রাজ্য প্রশাসনের তরফেও দ্রুত তদন্ত শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল জেলা পুলিশকে।
এ দিন ধৃতদের বালুরঘাট জেলা আদালতে পেশ করা হলে তাদের চোদ্দ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। সেদিনই অভিযুক্তদের আইনজীবীর হাতে চার্জশিটের প্রতিলিপি তুলে দেওয়া হবে। বিচারকের নির্দেশেই অভিযুক্তদের জন্য একজন আইনজীবী নিয়োগ করা হয়েছে বলে জানান সরকারি আইনজীবী ঋতব্রত চক্রবর্তী।