করোনার কোপে বন্ধ গ্রামীণ হাসপাতাল, রোগীদের দুর্ভোগ চরমে

  • করোনার হাত থেকে রেহাই নেই কারও
  • সংক্রমিত একজন রোগী ও স্বাস্থ্যকর্মী
  • পরিষেবা বন্ধ থাকল গ্রামীণ হাসপাতালে
  • রোগীদের দুর্ভোগ চরমে
     

Asianet News Bangla | Published : Sep 10, 2020 6:39 PM IST

আশিষ মণ্ডল, বীরভূম:  স্রেফ রোগীই নয়, করোনা সংক্রমণের শিকার এক স্বাস্থ্যকর্মীও। পরিষেবা বন্ধ রেখে স্যানিটাইজেশনের কাজ চলল গ্রামীণ হাসপাতালে। বীরভূমে চরম দুর্ভোগে পোহাতে হল অন্য রোগী ও তাঁদের আত্মীয়দের। 

আরও পড়ুন: নিট-এর অ্যাডমিট কার্ড আনতে গিয়ে নিখোঁজ পরীক্ষার্থী, চাঞ্চল্য কোন্নগরে

জানা গিয়েছে, বীরভূমের মুরারই গ্রামীণ হাসপাতালের এক স্বাস্থ্যকর্মী এবং রোগীর করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে রবিবার সন্ধ্যায়। এর পর সেদিন রাত দুটো থেকে সোমবার বিকেল ৪ টে পর্যন্ত হাসপাতাল বন্ধ রেখে স্যানিটাইজের কাজ শুরু করা হয়। ফলে চরম হয়রানি শিকার হন বহু রোগী। হাসপাতালে বিএমওএইচ আসিফ আহমেদ বলেন,  'রাত ২ টো থেকে এদিন বিকেল ৪ টে পর্যন্ত হাসপাতাল বন্ধ রাখা হয়েছিল। ওই সময়ের মধ্যে হাসপাতালের সিলিং সহ সর্বত্র যে ঝুল জমে রয়েছে তা পরিষ্কার করা হল। এরপর স্যানিটাইজ করা হল। অবশ্য হাসপাতালের বহির্বিভাগ চালু রাখা হয়েছিল। প্রসূতিদের জন্য পাইকড় ব্লক হাসপাতাল প্রস্তুত রাখা হয়েছিল। প্রয়োজন হলে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হত। তার জন্য দুটো অ্যাম্বুলেন্স সব সময়ের জন্য রাখা হয়েছিল। তবে লকডাউনের কারণে এমনিতেই এদিন রোগীর চাপ কম ছিল। ফলে খুব সমস্যা হয়নি।'

আরও পড়ুন: তোলাবাজি থেকে রেহাই পেলেন না খোদ দলীয়কর্মী, চাঞ্চল্যকর অভিযোগ বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে

উল্লেখ্য, গোটা রাজ্যের মতোই করোনা সংক্রমণ ছড়াচ্ছে বীরভূমেও। সংক্রমণ ধরা পড়ে রামপুরহাট পুরসভার এক চতুর্থ শ্রেণির কর্মীরা। করোনায় আক্রান্ত হন সাঁইথিয়া পুরসভার সুপারভাইজারও। সংক্রমণ রুখতে প্রায় এক সপ্তাহ বন্ধ রাখা হয় দুটি পুরসভাই। এদিকে আবার নলহাটি আক্রান্ত খোদ পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান। আর এবার করোনা থাবা বসাল গ্রামীণ হাসপাতালেও।

Share this article
click me!