চলন্ত ট্রেনে মোবাইল ছিনতাই ও যাত্রীকে ঠেলে ফেলার দেওয়ার ঘটনার কিনারা করে ফেলল জিআরপি। ঘটনায় গ্রেফতার দুই কুখ্যাত দুষ্কৃতী। উদ্ধার হয়েছে খোয়া যাওয়া মোবাইলটি।
গত সোমবার দুপুরের ঘটনা। নৈহাটি থেকে আসানসোলে যাওয়ার পথে বালিয়া এক্সপ্রেসে এক দুষ্কৃতীর খপ্পরে পড়েন সৌরভ মাঝির নামে এক যুবক। তাঁর দাবি, গরিফা স্টেশনের কাছে পকেট থেকে মোবাইলটি ছিনতাই করার চেষ্টা করে ওই দুষ্কৃতী। শুধু তাই নয়, মোবাইলটি ছিনতাইয়ের পর সৌরভকে চলন্ত ট্রেন থেকে ঠেলে ফেলে দেওয়া হয়। বেকায়দায় পড়ে মুখে ও নাকে গুরুতর চোট পান সৌরভ। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে নৈহাটি হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয় বাসিন্দারা। প্রাথমিক চিকিৎসার পর সৌরভকে ছেড়ে দেন চিকিৎসকরা। জানা গিয়েছে, আক্রান্ত সৌরভ মাঝির বাড়ি আসানসোলে। নৈহাটিতে এক আত্মীয় বাড়িতে এসেছিলেন তিনি। সোমবার দুপুরে বালিয়া এক্সপ্রেসে চেপে আসানসোল ফিরছিলেন তিনি।
এদিকে এই ঘটনার পর নৈহাটি স্টেশনের জিআরপি অভিযোগ দায়ের করেন সৌরভ। কিন্তু যে এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে, সেই এলাকার ব্যান্ডেল জিআরপি-র অধীনে। তাই তদন্তে নামেন ব্যান্ডেল জিআরপি-এর আধিকারিকরা। জিআরপি-এর ওসি মহাবীর বেরা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার রাতে গরিফা এলাকা থেকে রবীন্দ্র দাসকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আখতার আলী নামে আরও এক দুষ্কৃতী খোঁজ পান তদন্তকারী। গ্রেফতার করা হয় তাকেও। আখতারের কাছে একটি মোবাইলও পাওয়া যায়। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, আখতারের কাছে যে মোবাইলটি পাওয়া গিয়েছে, সেই মোবাইলটি ইতিমধ্যেই শনাক্তও করেছেন আক্রান্ত সৌরভ মাঝি। ধৃত রবীন্দ্র দাস ও আখতার আলী নৈহাটি এলাকার কুখ্যাত দুষ্কৃতী হিসেবে পরিচিত।