এবার আহমদাবাদ বিস্ফোরণের সঙ্গে জুড়ে গেল বসিরহাটের নাম। অভিযোগ, গুজরাতের ওই বিস্ফোরণে জড়িতদের আশ্রয় দিয়েছিল অভিযুক্ত। ইতিমধ্য়েই গ্রেফতার করা হয়েছে তাকে। ধৃতের কাছ থেকে বিস্ফোরণকাণ্ডের তল পেতে শুরু হয়েছে জিজ্ঞাসাবাদ।
সূত্রের খবর, বসিরহাট থানার শাঁখচূড়া-বাগুন্ডী গ্রাম পঞ্চায়েতের সোলাদানা পেট্রলপাম্প এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে আহমদাবাদ বিস্ফোরণকাণ্ডের সাথে যুক্ত দুই চক্রীর আশ্রয়দাতাকে। আশ্রয়দাতার নাম আব্দুর রজ্জাক গাজি। অভিযোগ,ধৃত দুজন সন্ত্রাসবাদীকে আশ্রয় দিয়েছিলেন। সেখান থেকে গুজরাত পুলিশের অ্যান্টি টেরোরিস্ট স্কোয়াড গোপন সূত্রে খবর পেয়ে যোগাযোগ করে রাজ্য পুলিশের সঙ্গে। পরে রাজ্য পুলিশ ও গুজরাত পুলিশের যৌথ উদ্যোগে গত মঙ্গলবার রজ্জাককে গ্রেফতার করা হয়।।
যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে রজ্জাকের স্ত্রী। তার পাল্টা অভিযোগ, চক্রান্ত করে তার স্বামীকে ফাঁসানো হচ্ছে। সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে তার স্বামীর কোনও যোগাযোগ নেই। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ২০০৬সালে আব্দুর রজ্জাক গাজির সঙ্গে নাজমা বিবির বিয়ে হয়। স্ত্রীর বাপের বাড়ি পিফার খিদিরপুরে। ধৃতের ছেলের নাম আশিক গাজি । মেয়ে মিমি সুলতানা। নাজমা বিবি দাবি, তার স্বামী দীর্ঘদিন ধরে বাড়িতেই রয়েছে। তিনি নির্দোষ, তাকে চক্রান্ত করে ফাঁসানো হচ্ছে। গত কয়েক বছর তাদের বাড়িতে কোনও লোকজন আসেনি।
পাড়ার লোকেরা অবশ্য় গাজির পরিবারের সঙ্গেই দাড়য়িছেন। পাড়ার ছেলেকে ১০০শতাংশ নির্দোষ শংসাপত্র দিচ্ছেন তারা। প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরেই রাজ্য়কে সন্ত্রাসবাদের আতুড়ঘর করার অভিযোগ উঠেছে শাসক দলের বিরুদ্ধে। বিজেপির অভিযোগ, বর্ধমান , বীরভূম ,বসিরহাট দে গঙ্গায় মতো জায়গায় জঙ্গিরা বহাল তবিয়তে ঘুরে বেড়াচ্ছে। বাংলা এখন সন্ত্রাসবাদীদের স্বর্গ রাজ্য় বল দাবি করেছে গেরুয়া ব্রিগেড।