'মোদী-শাহের পুতুল নই, আমি মমতার পাঞ্চিং ব্যাগ' - ফের ধনখরের বোমা

মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় (Chief Minister Mamata Banerjee ) অভিযোগ করেন, জগদীপ ধনখর (Governor Jagdeep Dhankhar) নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহের (Narendra Modi and Amit Shah) হাতের পুতুল। এবার প্রকাশ্য মঞ্চ থেকে তার জবাব দিলেন বাংলার রাজ্যপাল।

Web Desk - ANB | Published : Mar 27, 2022 12:05 PM IST

তিনি রাজভবনে (Raj Bhavan) আসার পর থেকে, মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় (Chief Minister Mamata Banerjee ) তথা রাজ্য সরকারের সঙ্গে তাঁর বিবাদ লেগেই রয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় অভিযোগ করেন, জগদীপ ধনখর (Governor Jagdeep Dhankhar) রাজ্যপালের চেয়ারে বসে বিজেপি (BJP) সভাপতির কাজ করেন। তিনি নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহের (Narendra Modi and Amit Shah) হাতের পুতুল। অপরদিকে, রাজ্যপাল জগদীপ ধনখর, মমতা সরকারের বিরুদ্ধে নিত্য অসাংবিধানিক কাজ করার অভিযোগ করে থাকেন। এবার, প্রকাশ্য মঞ্চ থেকে তিনি জানালেন, তিনি মোদী-শাহের পুতুল নন, বরং মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের পাঞ্চিং ব্যাগ'।

শনিবার, ইন্ডিয়া টুডে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রকাশ্য় মঞ্চে বসে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ খণ্ডন করলেন জগদীপ ধনখর। তিনি জানান, যে রাজ্যের ক্ষমতায় এমন কোনও দল রয়েছে, যারা কেন্দ্রের ক্ষমতায় নেই, সেই রাজ্যের রাজ্যপালকে সহজেই 'কেন্দ্রের লোক' বলে দাগিয়ে দেওয়া যায়। সেই রাজ্যের রাজ্যপালের কাজটা খুব কঠিন হয়। তাঁর প্রতি প্রথম দিন থেকে সন্দেহের বাতাবরণ তৈরি হয়। তিনি রাজ্য সরকারের দৈনিক ঘুসি মারার ব্যাগে পরিণত হন। তাঁর ক্ষেত্রেও সেটাই ঘটেছে। তিনি জানান, রাজ্যপালের চেয়ারে বসে, তাঁর বলা এমন একটিও কথা বা তাঁর নেওয়া এমন একটিও পদক্ষেপ দেখানো যাবে না, যা অসাংবিধানিক। তিনি আরও জানান, সংবিধানের (Indian Constitution) যে ধারা মেনে রাজ্যপাল হিসাবে শপথ নিয়েছেন, তা, তাঁকে সংবিধান রক্ষার দায়িত্ব দিয়েছে। তিনি সেটাই করে থাকেন। 

এই অনুষ্ঠানে তিনি তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা পেগাসাস সফটওয়্যার (Pegasus Software) ব্যবহার করে নজরদারি করা বা পাঁচ তারা হোটেল থেকে প্রতিদিন রাজভবনে খাওয়ার আনানোর মতো অভিযোগের জবাবও দিয়েছেন। রাজভবন থেকে পেগাসাস ব্যবহার করে নজরদারি চালানোর অভিযোগ বাংলার রাজ্যপাল রীতিমতো হেসে উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, কেউই এই অভিযোগ বিশ্বাস করবে না। একই সঙ্গে তিনি জানান, তাঁর স্ত্রী একজন চিকিৎসক। তার পাশাপাশি তাঁর রান্নার হাতও খুবই ভাল। তাই পাঁচ তারা হোটেল থেকে খাবার আনানোর দরকার পড়ে না। জগদীপ ধনখর আরও বলেন, বাংলার সংবাদমাধ্যম বলে কিছু নেই। আফ্রিকার (Africa) বেশ কিছু দেশে, যেখানে সংবাদমাধ্যম ক্ষমতা বদলে বড় ভূমিকা নিয়েছে, সেখানে বাংলায় গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ কার্যত শাসক দলের করায়ত্ব হয়ে রয়েছে। 
 

Read more Articles on
Share this article
click me!