অভিযুক্ত শিক্ষককে স্কুল ঘরে তালা বন্ধ করে রেখে দেয় বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ।
এক চতুর্থ শ্রেনীর ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি করার অভিযোগ উঠলো স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত ওই শিক্ষককে মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দেয় গ্রামবাসীরা। ঘটনাটি ঘটেছে রায়গঞ্জ থানার বাহিন গ্রাম পঞ্চায়েত হাটমনি এলাকাতে। অভিযুক্ত ওই প্রধান শিক্ষকের নাম বাপ্পা রায়। এই ঘটনায় ওই ছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে রায়গঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
রায়গঞ্জ থানার বাহিন গ্রাম পঞ্চায়েত হাটমনি এলাকার হাটমনি-শংকরপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক ছাত্রী তার মার্কশিট নেওয়ার জন্য স্কুলে এসেছিল। স্কুল ফাঁকা পেয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক বাপ্পা রায় ওই ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি করে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে ওই ছাত্রী বাড়ি গিয়ে সমস্ত ঘটনা তার মাকে বললে গ্রামবাসীরা স্কুলে এসে প্রধান শিক্ষককে ব্যাপক মারধর করে।
ওই অভিযুক্ত শিক্ষককে স্কুল ঘরে তালা বন্ধ করে রেখে দেয় বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ। স্কুলের ঘরের তালা খুলে ওই প্রধান শিক্ষককে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। এই ঘটনায় ওই ছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে প্রধান শিক্ষক বাপ্পা রায়ের বিরুদ্ধে রায়গঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়।
দিন কয়েক আগেই উত্তর ২৪ পরগণার নপাড়ায় পুলিশ আবাসনে নাবালিকার শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটে। সূত্রের খবর, ন-পাড়ায় পুলিশ কোয়ার্টারে আইপিএস অফিসারদের জন্য নতুন আবাসন তৈরি হচ্ছে। সেই আবাসনে অনেকদিন থেকেই কাজ করছিলেন বেশ কিছু রাজমিস্ত্রি। তাদের মধ্যেই একজন এই কাণ্ড ঘটিয়েছে। ইতিমধ্যেই নাবালিকার পরিবারের তরফে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তবে খোদ পুলিশ আবাসনে এই ধরণের অভিযোগ ওঠায় এলাকায় নারী নিরাপত্তা নিয়ে উঠেছে বড়সড় প্রশ্ন।
নাবালিকার দাবি, যখন সে খেলার জন্য আবাসনের অন্যান্য বাচ্চাদের জন্য নীচে যায় তখনই আবাসনের ছাদে নিয়ে গিয়ে এক রাজমিস্ত্রি তাকে যৌন হেনস্তা করেছে। তার আরও অভিযোগ, তাকে এই ঘটনার কথা কাউকে না বলার জন্য হুমকিও দেয় অভিযুক্ত। অভিযুক্ত রাজমিস্ত্রির নাম সন্তু মল্লিক। সে ওই আবাসনেই অন্যান্য রাজমিস্ত্রিদের সঙ্গে কাজ করত। কাজ করার সুবাদেই কোথায় কে থাকত সেই বিষয়ে সে পুরোপুরি ওয়াকিবহাল ছিল বলে পুলিশি জেরায় জানিয়েছে। সেই সুযোগেই সুযোগ বুঝে ছাদে নিয়ে গিয়ে বাচ্চাটির শ্লীলতাহানি করে সে।