এতদিন বাংলা ও ইংরাজী ভাষায় থাকলেও হিন্দি ভাষায় ছিলনা এই পরীক্ষা দেওয়ার কোনও সুযোগ। ফলে অনেকে বি এড করতে ভীন রাজ্যে পারি দিত।
হিন্দি ভোট ব্যাঙ্ক অক্ষুন্ন রাখতে শুরু চলতি বছরেই একাধিক বড় ঘোষণা করতে দেখা গিয়েছিল মমতা বন্দোপাধ্যায়কে(Mamata Banerjee)। এমনকী হিন্দি দিবসে(Hindi Diwas) করেছিলেন বড় ঘোষণাও। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য রাজ্য সরকার ২০১১ সালে তথ্য–সংস্কৃতি বিভাগের তত্ত্বাবধানে হিন্দি অ্যাকাডেমি(Hindi Academy) গঠন করেছিল। সে সময় তাতে ১৩ জন সদস্য ছিলেন। সেই অ্যাকাডেমির কাজ আরও ব্যাপকভাবে বাড়ানোর জন্য সেটি পুনর্গঠন করা এই বছরেই। সেই কাজও শুরু হয়ে গিয়েছিল দীর্ঘদিন আগে। এবার উচ্চ শিক্ষাতেও হিন্দীভাষীদের জন্য নতুন দরজা খুলে দিতে বদ্ধপরিকর সরকার।
এদিকে এতদিন বাংলা ও ইংরাজী ভাষায় থাকলেও হিন্দি ভাষায় ছিলনা এই পরীক্ষা দেওয়ার কোনও সুযোগ। ফলে অনেকে বি এড করতে ভীন রাজ্যে পারি দিত। তবে বর্তমান রাজ্য সরকার হিন্দি ভাষাকে এরাজ্য সমান মান্যতা দিতে বদ্ধপরিকর।তাই বিভিন্ন ভাষাভাষী মানুষের বসবাস এরাজ্যে বাংলা বা অন্যান্য ভাষার সাথে সমান তাল রাখতে গঠন করা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ হিন্দি একাডেমি। এই একাডেমিই হিন্দি ভাষার প্রসার ঘটাবে এরাজ্যে। সেই পরিপেক্ষিতে এরাজ্য বেশ কিছু হিন্দি বিদ্যালয় তৈরিও করার চিন্তা ভাবনা করেছে বর্তমান সরকার। অন্যদিকে বিএড পরিক্ষায় হিন্দি ভাষায় প্রশ্নপত্র চালু করার কথা ইতিমধ্য ঘোষনা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্ধোপাধ্যায়। চলতি ২১-২২ শিক্ষাবর্ষে এই প্রক্রিয়া চালু হবে। শুক্রবার শিলিগুড়ি জার্নালিস্ট ক্লাবে এক সাংবাদিক বৈঠকে এমনই কথা জানালেন পশ্চিমবঙ্গ হিন্দি অ্যাকাডেমির চেয়ারম্যান বিবেক গুপ্ত।
আরও পড়ুন- ওমিক্রন নিয়ে চিন্তিত রেল, সংক্রমণ রুখতে সমস্ত শাখায় পাঠানো হল বিশেষ নির্দেশিকা
বিবেক গুপ্তা ছাড়াও হিন্দি সেলের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন লোকসভার প্রাক্তন সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদী। হিন্দি সেলের যে কমিটি তৈরি হয়েছে তাতে ব্লক, জেলা ও রাজ্য এই তিনটি স্তরেই কাজ হচ্ছে। অন্যদিকে শুধু হিন্দিই নয়, উর্দু, সাঁওতালি, গোর্খা, রাজবংশি, কুরুক-সহ একাধিক ভাষাকে মান্যতা দিয়েছে, মর্যাদাবৃদ্ধি করেছে রাজ্য সরকার। এদিকে রাজ্যে হিন্দি আগ্রাসন কমাতে বহুদিন থেকেই আন্দোলন করে চলেছে বাংলাপক্ষ। এমনকী বিজেপি বারবার অভিযোগ করেছে বাংলাপক্ষকে বাইরে থেকে আর্থিক সাহায্য করছে তৃণমূল। যা নিয়ে বিতর্কও কম হয়। কিন্তু হিন্দি একাডেমির তৈরির পর থেকে বাংলাপক্ষ-তৃণমূল সম্পর্ক নিয়েও একাধিক চাপানউতর শোনা যায়। এবার সরাসরি হিন্দিতে বিএম পরীক্ষার সিদ্ধান্তে তাই নতুন করে বিতর্ক দানা বাঁধতে শুরু করেছে। বিস্তর আলোচনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলেও।