স্থলভাগে ঢোকার পর খানিক শক্তি ক্ষয় হলেও ঘণ্টায় ১১০ কিমি বেগে বইতে এই পারে বিধ্বংসী ঝড়।
শক্তি বাড়িয়ে ক্রমেই স্থলভাগের দিকে ছুটে আসছে ঘূর্ণিঝড় 'জাওয়াদ'(Cyclone Jawad)। হাওয়া অফিস থেকে শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী ইতিমধ্যে শক্তি বাড়িয়ে সাধারণ ঝর থেকে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে 'জাওয়াদ'। শনিবার সকালের দিকেই উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ এবং দক্ষিণ ওড়িশার মধ্যে স্থলভাগে আছড়ে পড়তে পারে এই বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড়(Catastrophic Cyclone)। ফলে আগামীকাল সকাল থেকেই ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ(West Bengal) এবং অন্ধ্রপ্রদেশে(Andhrapradesh) ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে বলে জানাচ্ছে হাওয়া অফিস। সৌদি আরবের দেওয়া এই ঘূর্ণিঝড়ের অর্থ ‘উদার’ বা ‘মহান’। সম্ভবত এই নামের দ্বারা তাঁদের প্রার্থনা ঝড়ে যেন ক্ষয়ক্ষতি কম হয়। মানুষের দুর্ভোগ যেন না আসে। সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের কাছে সেই প্রার্থনা করতেই এমন নামকরণ করা হয়েছে ধারণা।
হাওয়া অফিস সূত্রে আরও খবর ঘূর্ণাবর্তটির মূল সৃষ্টি থাইল্যান্ডে(Thailand)। যা বর্তমানে নিম্নচাপ(Low Pressure) হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে চলেছে। এদিকে স্থলভাগের দিকে এগোতেই ইতিমধ্যেই ভারতের উপকূলীয় রাজ্যগুলিতে এর প্রভাব পড়তে শুরু হয়ে গিয়েছে। উত্তর উপকূলীয় অন্ধ্রপ্রদেশ, দক্ষিণ উপকূলীয় ওড়িশার অধিকাংশ জায়গায় শুক্রবার বিকেল থেকেই হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত শুরু হয়ে গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। কয়েকটি জায়গায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাসও রয়েছে। স্থলভাগে ঢোকার পর খানিক শক্তি ক্ষয় হলেও ঘণ্টায় ১১০ কিমি বেগে বইতে এই পারে বিধ্বংসী ঝড়।
আরও পড়ুন-সিঙ্গুর খুনে নতুন মোড়, ধৃত মূল অভিযুক্তের ভাই
এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের ভালো প্রভাব পড়তে চলেছে বাংলার একাধিক জেলাতে। ঘূর্ণিঝড়ের জেরে শনিবার ও রবিবার রাজ্যে বজ্রবিদ্যুত্-সহ ঝড়বৃষ্টি হতে পারে বলেও সতর্ক করেছে হাওয়া অফিস। শনিবার ৭ থেকে ২০ সেন্টিমিটার বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে। ৭ থেকে ১১ সেন্টিমিটার বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা দুই ২৪ পরগনা, ঝাড়গ্রাম এবং হাওড়া জেলায়। বিশেষ করে উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে আগামী ৪ ও ৫ তারিখ ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হবে বলে আভাস দিয়েছে আলিপুর আবহওয়া দপ্তর। ৫ তারিখও উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন-পুর নির্বাচনে আদৌও কী দাঁড়াচ্ছেন বাম নেতা অশোক ভট্টাচার্য, ফেসবুক পোস্টেই বাড়ছে জল্পনা
শনিবার মূলত বিশাখাপত্তনম থেকে গোপালপুরের মাঝামাঝি অংশ দিয়েই এটির স্থলভাগে প্রবেশ করার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এদিকে ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে ইতিমধ্যেই জোরদার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে সরকার। শুক্রবার থেকে সোমবার পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। ওড়িশা, অন্ধ্রপ্রদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গে ইতিমধ্যে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ৪৬ টি দল মোতায়েন করা হয়েছে, এমনটাই জানিয়েছেন জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর (এনডিআরএফ) ডিজি অতুল কারওয়াল।