'কিছুটা হলেও দুর্দশা খুচবে', পুরোহিত ভাতায় ঘোষণায় খুশির হাওয়া অনুব্রতের গড়ে

  • বিধানসভা ভোটের 'মাস্টার স্ট্রোক'
  • পুরোহিত জন্য এবার ভাতা ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর
  • খুশি হাওয়া অনুব্রতের গড় বীরভূমে
  • বিরোধী চাপেই সিদ্ধান্ত, দাবি কংগ্রেসের

Asianet News Bangla | Published : Sep 15, 2020 8:37 AM IST / Updated: Sep 15 2020, 03:04 PM IST

আশিষ মণ্ডল, বীরভূম:  দীর্ঘদিনের দাবি। রাজপথে মিছিল বের করেছিলেন, স্মারকলিপি দিয়েছিলেন পুরসভায়। অবশেষে মিলল সরকারি ভাতা। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণায় খুশি বীরভূমের পুরোহিতরা। কংগ্রেসের চাপেই পুরোহিতদের জন্য ভাতা ঘোষণা করা হল, দাবি দলের বিধায়ক মিল্টন রশিদের।

আরও পড়ুন: কাটোয়া কলেজে পরীক্ষায় দুর্নীতি বিতর্ক, বিভাগীয় প্রধানের বিরুদ্ধে বসল তদন্ত কমিটি

এ রাজ্যে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর মোয়াজ্জেমদের ভাতার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাহলে পুরোহিতরাই বা বাদ যাবেন কেন? বিধানসভায় প্রশ্ন তোলেন বীরভূমের হাঁসনের কংগ্রেস বিধায়ক মিল্টন রশিদ। সরকারের তরফে জবাব আসে, বিষয়টি অর্থ দপ্তরকে জানানো হয়েছে। এরপর জেলার বিভিন্ন প্রান্তে পুরোহিতদের নিয়ে রাস্তায় নামেন বিধায়ক। এর আগে  ২০১২ সালে সরকারি ভাতার দাবিতে রামপুরহাট শহরে মিছিল বের করেছিলেন পুরোহিতরা। পরবর্তীকালে রামপুরহাট পুরসভায় স্মারকলিপিও দেওয়া হয়। অবশেষে বিধানসভা ভোটের মুখে এল সুখবর। 

নবান্নের সভাঘরে সাংবাদিক সম্মেলন করে সোমবার মোয়াজ্জেমদের মতোই রাজ্যে পুরোহিতদেরও ভাতা দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা অনুযায়ী, দুর্গাপুজোর সময় থেকেই আট হাজার পুরোহিতকে মাসে হাজার টাকা ভাতা দেওয়া হবে। শুধু তাই নয়, আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া পুরোহিতদের আবার বাড়িও তৈরি করা দেওয়া হবে 'বাংলা আবাস যোজনা' প্রকল্পে। মোয়াজ্জেমদের ভাতা দেওয়াকে হাতিয়ার করে এ রাজ্যে বিজেপি ধর্মীয় মেরুকরণের চেষ্টা চালাচ্ছিল বলে অভিযোগ। বিধানসভা ভোটে কথা মাথায় রেখেই কি এবার পুরোহিতদের ভাতার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল সরকার? খ্রিষ্টধর্মের যাজক ও পাদরিরা যদি চান, তাহলে তাঁদের পাশে দাঁড়ানোরও আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। 

আরও পড়ুন: দিনভর বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস, কলকাতা-সহ বেশকিছু জেলায় বৃষ্টির পূর্বাভাস

বীরভূমের ভাতার দাবিতে পুরোহিত নিয়ে যিনি আন্দোলনে নেমেছিলেন, বীরভূমের হাঁসনের সেই কংগ্রেস বিধায়ক মিল্টন রশিদ বলেন, 'তারাপীঠকে বাদ দিলে বীরভূমে পাঁচটি সতীপাঠ রয়েছে। এছাড়াও জেলার বিভিন্ন মন্দিরে এমন অনেক পুরোহিত আছেন, যাঁদের আর্থিক অবস্থা খুবই খারাপ। তাঁদের দুর্দশার কারণে বিধানসভা পুরোহিত ভাতার দাবি তুলেছিলাম। চাপে পড়ে সরকার ভাতা ঘোষণা করতে বাধ্য হল।' সরকারের ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্তে যে পুরোহিতদের যে উপকার হবে, সেকথা স্বীকার করেছেন তারাপীঠ মন্দিরের সেবাইত পুলক চট্টোপাধ্যায়ও।

Share this article
click me!