কোথাও হাঁটু জল, কোথাও জল জমে ডোবার আকার ধারন করেছে। বৃহস্পতিবার ভারী বৃষ্টিতে জল জমেছে মালদহের চাঁচলে একাধিক রাস্তায়। শুধু রাস্তায় নয়। বেশ কয়েকটি এলাকায় বাড়ির ভেতরেও জল ঢুকে গেছে।বাসিন্দাদের অভিযোগ, নিকাশির দিকে নজরই নেই পঞ্চায়েত প্রশাসনের।
বৃষ্টির জলে প্লাবিত হয়েছে চাঁচল করোনা হাসপাতালের মূল ফটক।সেখানেও নিকাশি ব্যবস্থার বেহাল দশা বলে খবর।এদিক চাঁচল ব্লকের বিভিন্ন পাড়ায় জল জমে বাড়িতে ঢুকে যায়। থানা সংলগ্ন ওই পাড়ায় জল জমে বাড়িতে ঢুকে গিয়ে চরম বিপাকে পড়তে হয় বাসিন্দাদের। প্রায় ৩০ টি পরিবারের বসবাস সেখানে। জল জমে থাকলে দূষণ এবং সংক্রমণের আশঙ্কায় রয়েছেন বাসিন্দারা।
এছাড়াও অরবিন্দপল্লী,ট্যান্ডেল পাড়া হাসপাতাল পাড়া সহ একাধিক এলাকায় জল জমে আছে। চাঁচল-১ নং পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য অমিতেষ পান্ডের দাবি,সারারাত ধরে জেগে থেকে চাঁচলের বিভিন্ন পাড়ায় পাড়ায় গিয়ে নিজে হাত লাগিয়ে জল নিষ্কাশন করেছেন তিনি। এখনও কাজ চলছে। তবে নিকাশি ব্যবস্থা ঠিক না থাকায় বৃষ্টি হলে বারবার জল বাড়ির ভেতর ঢোকে। এমনকি প্লাবিত হয় রাস্তাও।
এদিন চাঁচল থানার সিভিক পুলিশরাও জল নিষ্কাশনের কাজে হাত লাগিয়েছেন। সিভিক পুলিশ কর্মী রাজু দাস বলেন, নিকাশের অভাবে থানায় জল জমেছে। নিষ্কাশন করতেই কাজে হাত লাগিয়েছি।
এদিকে নিকাশের অভাবে কলিগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের নিমতলায় প্রায় পঞ্চাশটি বাড়ি জলমগ্ন হয়েছে। বৃষ্টি হলেই এমন দুর্ভোগ পোহাতে হয় বাসিন্দাদের। শুক্রবার সকালে জলমগ্ন হয় ওই এলাকা।স্থানীয়দের দাবি, নিমতলায় হাইড্রেন নির্মান করা হলে শতাধিক পরিবার জল জমার সমস্যা থেকে মুক্তি পাবে। কলিগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান রেজাউল খান জানিয়েছেন, সকালেই নিকাশির জন্য কাজ শুরু হয়েছে। টেন্ডার পাশ হয়েছে। খুব শীঘ্রই কাজ শুরু হবে।